৩ মাসে টেসলার মুনাফা ৭১ শতাংশ কমেছে

টেসলার মডেল এস গাড়ি নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স
টেসলার মডেল এস গাড়ি নিয়ে বক্তব্য দিচ্ছেন ইলন মাস্ক। ফাইল ছবি: রয়টার্স

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইলেকট্রিক গাড়ি নির্মাতার প্রতিষ্ঠানের অন্যতম টেসলা। চীনের বিওয়াইডি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার আগ পর্যন্ত এই খাতের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল টেসলার হাতে। তবে ধনকুবের ইলন মাস্কের ওই প্রতিষ্ঠানের সুদিন আর নেই।

চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে এর আগের ত্রৈমাসিকের তুলনায় টেসলার মুনাফা দুই-তৃতীয়াংশ কমে গেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সরকারি কর্মদক্ষতা বিভাগ ডোজের প্রধান হিসেবে ইলন মাস্কের বিতর্কিত ভূমিকা এই ভরাডুবির পেছনে মূল ভূমিকা রেখেছে। এমনটাই ভাবছেন বিশ্লেষকরা। 

টেসলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ছবি: DW
টেসলার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ছবি: DW

মাস্কের নেতৃত্বে শতাধিক মার্কিন সরকারি কর্মচারী কাজ হারিয়েছেন। ডোজ-প্রধান হিসেবে মাস্কের এই অজনপ্রিয় ভূমিকাই টেসলার বিক্রি কমার মূল কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি এ বছরের প্রথম কোয়ার্টারের (ত্রৈমাসিক) মুনাফার হিসেব প্রকাশ করেছে টেসলা।

মঙ্গলবার প্রকাশিত সেই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ায় প্রায় ৭১ শতাংশ নেমেছে মুনাফা। প্রথম কোয়ার্টারে ৪০ দশমিক নয় কোটি মার্কিন ডলার লাভ করেছে এই সংস্থা।  

টেসলার কর্ণধার ইলন মাস্ক যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনে ডোজের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় শতাধিক সরকারি কর্মচারী কাজ হারিয়েছেন। এর ফলেই মাস্ক তথা টেসলার জনপ্রিয়তা তলানিতে এসে ঠেকেছে বলে মনে করা হচ্ছে।   

মে মাসের শেষের দিকে ১৩০ দিনের মাথায় তার ডোজ প্রধান থাকার মেয়াদ শেষ হবে।

ইলন মাস্কের প্রতিক্রিয়া

লন্ডনে টেসলার শো-রুমের বাইরে বিক্ষোভ। ছবি: DW
লন্ডনে টেসলার শো-রুমের বাইরে বিক্ষোভ। ছবি: DW

মঙ্গলবার রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরেই মাস্ক ঘোষণা দেন, তিনি মে মাস থেকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে কম সময় দিয়ে টেসলার কাজে মনোনিবেশ করবেন।

সংস্থার বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে কনফারেন্স কলে তিনি বলেন, 'মে থেকে আমার ডোজের কাজ কমে যাবে।'

তিনি আরো বলেন, 'ডোজের সংশ্লিষ্ট যা কাজ ছিল তা তিনি শেষ করে ফেলেছেন।'

ট্রাম্প প্রশাসনে মাস্কের ভূমিকা

রোমে টেসলা পুড়িয়ে বিক্ষোভ জানানো হয়। ছবি: DW
রোমে টেসলা পুড়িয়ে বিক্ষোভ জানানো হয়। ছবি: DW

ধনকুবের মাস্কের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের সম্পর্ক বেশ ভালো। জানুয়ারিতে ওভাল অফিসের দায়িত্ব নেয়ার পরেই এক ধাক্কায় সরকারি খরচও কমানোর দায়িত্ব বন্ধু মাস্কের হাতে তুলে দেন ট্রাম্প।

মাস্ক ক্ষমতায় আসার পর ডোজ শিক্ষা দপ্তর, ইউএসএইডসহ একাধিক সরকারি দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

দাবি করা হয়, এর ফলে দুর্নীতি এবং আমলাতন্ত্র কমবে এবং সরকারের দক্ষতা বাড়বে।

এ সময় হাজারো সরকারি কর্মী কাজ হারান। অসংখ্য সরকারি প্রকল্প বন্ধ হরে দেওয়া হয়।

নির্বিচারে সরকারি সংস্থা ও দপ্তর বন্ধের সিদ্ধান্তকে ইতোমধ্যে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে।

এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মাস্কের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য দেশে জনমত তৈরি হয়েছে।

টেসলার শোরুমে প্রতিবাদ দেখা গেছে। এমনকি মাস্ক-বিরোধীরা শোরুমের ওপর হামলাও চালিয়েছেন।

(রয়টার্স)

 

Comments

The Daily Star  | English

Curfew in Gopalganj from 8:00pm

It will be in effect until 6:00pm tomorrow

37m ago