পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থাপনা কমিটির কোনো বৈঠক হয়নি: পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী

খাজা আসিফ। রয়টার্স ফাইল ছবি

ভারতে সামরিক অভিযানের পর পাকিস্তানের পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক কমিটির বৈঠক হয়নি বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি নিশ্চিত করেছেন এই বৈঠকের সময়সূচিও নির্ধারিত ছিল না।

যদিও এর আগে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের বৈঠকে ডেকেছেন। তবে এই বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারারের বক্তব্য জানতে অনুরোধ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

১৯৯৯ সালের পর পরমাণু অস্ত্রধারী দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াইয়ে উভয় পক্ষের কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও জি সেভেনভুক্ত দেশগুলোর পক্ষ থেকে বারবার উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানানো হচ্ছে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এআরওয়াই টিভিকে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন, 'যে বিষয়টি (পারমাণবিক অস্ত্র) নিয়ে আপনারা কথা বলেছেন, সেটা তো আছে। কিন্তু আসুন আমরা এটা নিয়ে কথা না বলি—এটাকে আমাদের খুব দূরের সম্ভাবনা হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। তাৎক্ষণিক প্রেক্ষাপটে এটা নিয়ে আমাদের আলোচনা করা উচিত নয়।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা সেই পর্যায়ে পৌঁছানোর আগেই আমি মনে করি পরিস্থিতির উত্তাপ কমে আসবে। ন্যাশনাল কমান্ড অথরিটির বৈঠক হয়নি। এমন কোনো বৈঠক নির্ধারিতও নয়।'

এ দিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করে উভয় পক্ষকে উত্তেজনা কমাতে এবং 'ভুল বোঝাবুঝি এড়াতে সরাসরি যোগাযোগ পুনঃস্থাপন' করার আহ্বান জানিয়েছেন।

'ভারতের অবস্থান সবসময়ই সংযত ও দায়িত্বশীল ছিল এবং এখনো তাই আছে,' রুবিওর সঙ্গে ফোনালাপের পর জয়শঙ্কর তার এক্স অ্যাকাউন্টে লেখেন।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেন, ভারত যদি এখানে থামে তবে 'আমরাও এখানে থামার কথা বিবেচনা করব।'

ভারতীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে যে আজ শনিবার ভারতীয় ও পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মধ্যে কথা হয়েছে।

আজ ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের সামরিক হামলা সম্পর্কে জানায়, সব শত্রুতাপূর্ণ পদক্ষেপের উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে এবং তা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে।

পাকিস্তানও দাবি করেছে, তাদের সামরিক অভিযান ছিল ভারতের হামলার প্রতিশোধ। দেশটির প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদেরকে (ভারতীয়দের) উপযুক্ত জবাব দেওয়া হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Choking waters: The dangerous decline of oxygen in Dhaka’s peripheral rivers

Bangladesh, often described as a land of rivers, is criss-crossed by more than 230 major and minor waterways.

16h ago