রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের এফ-১৬ বিধ্বস্ত, পাইলট নিহত

পশ্চিমের কাছ থেকে পাওয়া মার্কিন এফ-১৬ বিমানের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স
পশ্চিমের কাছ থেকে পাওয়া মার্কিন এফ-১৬ বিমানের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি: রয়টার্স

রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ওই যুদ্ধবিমানে থাকা একজন পাইলট নিহত হয়েছেন। ইউক্রেনের বিমানবাহিনী টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে জানায়, রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা প্রতিহত করার সময় ঘটনাটি ঘটে।

বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার রাতে শত্রুপক্ষের ব্যাপক বিমান হামলা প্রতিহত করার সময় ইউক্রেনের একটি এফ-১৬ বিমান ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং উচ্চতা হারাতে থাকে। এই ঘটনায় ৩৩ বছর বয়সী প্রথম শ্রেণির পাইলট নিহত হয়েছেন। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগে সাতটি লক্ষ্যবস্তু ভূপাতিত করে বলে দাবি করা হয়।

আলাদা এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়া রাতভর ড্রোন, ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ মোট ৫৩৭টি প্রজেক্টাইল পাঠিয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৪৭৫টিকেই ভূপাতিত করা হয়েছে।

স্থানীয় গণমাধ্যম কিয়েভ ইন্ডিপেনডেন্টের তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণাঞ্চলীয় মাইকোলাইভ, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝঝিয়া এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় লভিভসহ ইউক্রেনের বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ও হামলার শব্দ শোনা গেছে।

মধ্য ইউক্রেনের চেরকাসি অঞ্চলের গভর্নর ইহোর তাবুরেৎস জানিয়েছেন, হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন এবং বেসামরিক অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে। তিনটি বহুতল ভবন ও একটি কলেজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে তিনি জানান।

কর্মকর্তারা বলছেন, দক্ষিণের মিকোলাইভ এবং মধ্যঞ্চলের দিনিপ্রোপেত্রোভস্ক অঞ্চলের শিল্প স্থাপনাগুলোতেও হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রকাশিত ছবিতে আবাসিক ভবনের দেয়ালে পোড়া দাগ ও ভাঙা জানালা দেখা গেছে। উদ্ধারকর্মীদেরকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়।

অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, তাদের বাহিনী সীমান্ত অঞ্চল কুর্স্ক ও রোস্তভ এবং ক্রাইমিয়া উপদ্বীপে তিনটি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

এদিকে, গত শুক্রবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সামরিক ব্যয় কমানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সঙ্গে নতুন করে শান্তি আলোচনায় বসার জন্য তিনি প্রস্তুত বলেও ইঙ্গিত দেন।

এর আগে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে দুই দফায় শান্তি আলোচনায় বসেছিল মস্কো ও কিয়েভ। তবে কিছু যুদ্ধবন্দী বিনিময় ছাড়া তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা এই সংঘাত বন্ধে কোনো অগ্রগতি হয়নি।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiya Party central office vandalised, library set on fire in Kakrail

Protesters linked to Gono Odhikar Parishad demand ban on JP, accuse it of siding with Awami League

4h ago