৫ মাসে ৫ ডিভিশন সেনা নিয়ে গাজা দখল করতে চান নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা পুরোপুরি দখলে নেওয়ার একটি পরিকল্পনা আজ ইসরায়েলি নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর আশির্বাদপুষ্ট এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য হিসেবে গাজাকে হামাসমুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
এই পরিকল্পনার মূলে আছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফের পাঁচ ডিভিসন সেনা। আপাতত এই বিশেষ, সম্প্রসারিত সামরিক অভিযানের সময়সীমা ধরা হয়েছে পাঁচ মাস। অর্থাৎ, পাঁচ ডিভিশন সেনা পাঁচ মাসে গাজাকে হামাসমুক্ত করবে। এবং এটা করতে পুরো ভূখণ্ডের দখল নিতে হবে আইডিএফকে।

যার ফলে, প্রায় গাজার প্রায় ১০ লাখ মানুষকে অন্য কোনো জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, আজই এই পরিকল্পনা ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন নিরাপত্তা মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত পেতে চলেছে।
মন্ত্রিসভার সদস্যরা বিষয়টি জেরুজালেম পোস্টকে নিশ্চিত করেন এবং জানান, 'অনুমোদন পাওয়া নিয়ে কোনো সংশয় নেই। এখানে একমাত্র প্রশ্ন হলো, ওই পরিকল্পনার একাধিক সংস্করণের মধ্যে কোনটি অনুমোদন পেতে যাচ্ছে।'
ইতোমধ্যে গাজা দখলের এই পরিকল্পনার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছেন আইডিএফের চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির। তা সত্ত্বেও, পদত্যাগের মতো কঠোর কোনো সিদ্ধান্তে যাচ্ছেন না তিনি।

মঙ্গলবার এক আলোচনায় জামির বলেন, 'এই অভিযান একটি ভুল। এতে জিম্মিদের জীবন বিপন্ন হবে।'
ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো পরিকল্পনা আসলে সে অনুযায়ী ইসরায়েলের অভিযানে রদবদল করা হবে এবং বিষয়টি আজকের মন্ত্রিসভা বৈঠকে আলোচনা করা হবে। জেরুজালেমকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই সূত্র এ কথা জানিয়েছে।
অপরদিকে, নেতানিয়াহু প্রশাসনের সদস্যরা গাজার মানবিক পরিস্থিতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়টি সম্পর্কে জানেন এমন এক সূত্র জেরুজালেম পোস্টকে বলেন, 'গাজায় মানবিক ত্রাণ বিতরণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য আকারে বাড়াতে চায় প্রশাসন।'
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, 'আমি জানি, ইসরায়েল এ সহায়তা বিতরণে আমাদের সাহায্য করবে। অর্থের দিক থেকেও সাহায্য করবে। আমাদের সঙ্গে আরব দেশগুলোও আছে। তারাও অর্থ দিয়ে ও সম্ভবত বিতরণেও আমাদের সাহায্য করবে।'

বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর গাজা দখল করে নেওয়ার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, তার নজর 'গাজার ক্ষুধার্ত মানুষকে খাওয়ানোর' দিকে।
'বাকি বিষয়গুলো নিয়ে আমার তেমন কিছু বলার নেই। সেটা মূলত ইসরায়েলের (সিদ্ধান্তের) ব্যাপার', সাংবাদিকদের বলেন ট্রাম্প।
বুধবার সন্ধ্যায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায় হামাস। গাজার শাসক হিসেবে বা অন্য কোনো ভাবেও হামাসের অস্তিত্ব থাকতে পারবে না বলে মত দেন তিনি।
Comments