গাজায় জাতিসংঘের সেনা মোতায়েনের আহ্বান আইরিশ প্রেসিডেন্টের

গাজায় জাতিসংঘের সেনা মোতায়েন
আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি. হিগিনস। ছবি: রয়টার্স

বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় নতুন করে হামলা ও দখল পরিকল্পনার পাশাপাশি অবৈধ বসতি স্থাপনের পথে হাঁটছে ইসরায়েল সরকার। এমন পরিস্থিতিতে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর হাত থেকে উপত্যকাবাসীদের রক্ষায় জাতিসংঘের সেনা মোতায়েনের আহ্বান জানিয়েছেন আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি. হিগিনস।

আজ রোববার ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম দ্য জেরুসালেম পোস্ট জানায়, গতকাল প্রেসিডেন্ট হিগিনস আয়ারল্যান্ডের সরকারি প্রচারমাধ্যম আরটিইকে এক সাক্ষাৎকারে এমন আহ্বান জানান।

আইরিশ প্রেসিডেন্ট বলেন, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের উচিত বাহিনী গঠনের মাধ্যমে মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করা। তার মতে, আইন অনুসারে নিরাপত্তা পরিষদ ভেটো দিলেও জাতিসংঘের মহাসচিব নিজ দায়িত্বে সশস্ত্র সেনা পাঠাতে পারেন।

তার ভাষ্য, 'সাধারণ পরিষদের কমিটির একটি অংশও যদি সমর্থন দেয়, এমনকি নিরাপত্তা পরিষদ ভেটো দিলেও মহাসচিব মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে নিজেই সেনা মোতায়েন করতে পারেন। আমি মনে করি, সাধারণ পরিষদের গুরুত্ব সম্পর্কে সবার ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি দরকার।'

তিনি আরও বলেন, 'আমরা এমন পরিস্থিতি বসবাস করছি যেখানে কারও কোনো দায়বদ্ধতা নেই। এমন পরিস্থিতিতে বসবাস করছি যেখানে ইসরায়েলি মন্ত্রীরা অবৈধ বসতি স্থাপনে বেশি আগ্রহী। তারা আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা করছেন না। তারা পশ্চিম তীর ও গাজার যোগাযোগ ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাবও করছেন।'

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের রক্তক্ষয়ী হামলার পর তেল আবিব গাজায় হত্যাযজ্ঞ শুরু করলে পরের বছর মে মাসে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন দেশ হিসেবে স্বীকৃতি দেয় আয়ারল্যান্ড। একই সময়ে স্পেন ও নরওয়ে একই পথ অনুসরণ করে।

সেসময় আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিমন হ্যারিস ডাবলিনে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, 'এই স্বীকৃতির শক্তিশালী রাজনৈতিক ও প্রতীকী মূল্য আছে।' সেসময় তিনি আন্তর্জাতিক আইন মেনে ফিলিস্তিনের ভৌগোলিক অখণ্ডতা, স্বশাসন ও নিরাপত্তাও ওপর জোর দিয়েছিলেন।

Comments

The Daily Star  | English
corruption-extortion-illustration-biplob-chakroborty

‘Now it’s our turn’ mindset fuelling abuse of power: TIB

While reforms are publicly touted, an ongoing culture of dominance, illegal occupation, and extortion resulting from "power abuse" by certain political parties is undermining public aspirations to build a democratic "New Bangladesh", it says

31m ago