আফগানিস্তানের ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২২, আহত দেড় হাজারের বেশি

আফগানিস্তানে আঘাত হেনেছে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প। এই ভয়াবহ দুর্যোগে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬২২ হয়েছে। দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ এতে আহত হয়েছেন।
আজ সোমবার আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
গতকাল রোববার রাতে স্থানীয় সময় ১১টা ৪৭ মিনিটে শক্তিশালী এই ভূমিকম্প জালালাবাদ এলাকায় আঘাত হানে।
আফগানিস্তানের তালেবান শাসিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুল কানি বলেন, 'কুনার প্রদেশে ৬১০ জন নিহত ও এক হাজার ৩০০ জন আহত হয়েছে। অসংখ্য ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে।'
'নানগারহার প্রদেশে ১২ জন নিহত ও আরও ২৫৫ জন আহত হয়েছেন', যোগ করেন তিনি।
এর আগে কুনার প্রদেশের প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রস্তুতি কর্তৃপক্ষ জানায়, হতাহতের সংখ্যা বাড়তে পারে। এখনো দুর্গম এলাকার অনেক বাসিন্দার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি।
ভূমিকম্পে নুরগাল, সকে, ওয়াতাপুর, মানোগি ও চাপা দারা জেলায় অনেক মানুষ হতাহত হয়েছেন এবং বাড়িঘর ভেঙে গেছে।
প্রাথমিকভাবে স্থানীয় কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি জানিয়েছিল, ভূমিকম্পে নানগারহার ও কুনার প্রদেশে ২০ জনের বেশি মারা গেছেন এবং ১১৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন।
সে সময় রয়টার্স জানায়, শতাধিক মানুষ নিহতের আশঙ্কা রয়েছে।

ভূমিকম্পের প্রভাবে নুরগাল জেলার বেশ কয়েকটি গ্রাম মাটির নিচে চাপা পড়েছে। ওইসব এলাকায় অসংখ্য মানুষ আটকা পড়ে আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
টোলো নিউজের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ওইসব জেলার বাসিন্দারা হতাহতদের উদ্ধারে এগিয়ে আসার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন।
ইতোমধ্যে তালেবান নিয়ন্ত্রিত কাবুলের প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্ধার দলগুলো ভূমিকম্প কবলিত অঞ্চলে পৌঁছে গেছে। আহতদের এয়ারলিফট করে নানগারহার আঞ্চলিক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুলাহ মুজাহিদ গতকাল রাতে মন্তব্য করেন, স্থানীয় কর্মকর্তাদের তাদের সব ধরনের সম্পদ ও উপকরণ ব্যবহার করে মানুষকে উদ্ধারে এগিয়ে আসতে হবে।
স্থানীয় সময় রোববার রাত ১১টা ৪৭ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার এই শক্তিশালী ভূমিকম্প জালালাবাদ আঘাত হানে। এর পর অল্প সময়ের ব্যবধানে ৫.২ ও ৪.৭ মাত্রার আরও দুইটি ভূকম্পন অনুভূত হয়। কুনারের পাশাপাশি নানগারহাট ও লাঘমান প্রদেশেও ক্ষয়ক্ষতি সৃষ্টি করেছে এই ভূমিকম্প। পাশাপাশি, কাবুল ও পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেও এটি অনুভূত হয়।
জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস (জিএফজেড) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার (৬ দশমিক ২ মাইল) গভীরে।
Comments