নম্র হলে অফিসে অপরাজনীতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/images/2022/09/25/untitled_design_4.jpg?itok=t7zrHcCA×tamp=1664085452)
মানুষ প্রায়ই মনে করেন অপরিচিতদের প্রতি সদয় হওয়া অর্থহীন এবং সাময়িক স্বল্প আলাপচারিতাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভাবার কিছু নেই। কিন্তু বাস্তবে এসব আন্তরিকতা, ভালো আচরণ বাড়াতে পারে সম্পর্কের গভীরতা। নম্র হওয়া কেবল অন্য ব্যক্তিকেই সাহায্য করে না, নিজের মস্তিষ্কেও গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
উদারতার চর্চা বাস্তবজীবনে বেশ উপকারী, ভালো অনুভূত হওয়া থেকে শুরু করে হার্ট ভালো রাখা, এমনকি আনন্দ অনুভূতির হরমোন নিঃসরণ করে স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। বিনয় মস্তিষ্কের একটি অংশকে সক্রিয় করতে পারে যেটি 'সহানুভূতি'র সঙ্গে সম্পর্কিত এবং উদ্বেগ প্রতিষেধক। কমায় মানসিক চাপ আর সাহায্য করে পেশাদার সাফল্যে।
সহকর্মীদের সঙ্গে ভাল বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক একটি বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মতো। যা কোনো নির্দিষ্ট ভালো আচরণের কারণে একজনকে মনে রাখতে সাহায্য করে। ফলে বৃদ্ধি পায় পেশাদার সাফল্য।
একই সঙ্গে এই বৈশিষ্ট্যটিই ব্যক্তি সম্পর্কে প্রথমেই পছন্দসই অভিব্যক্তি তৈরি করে। এর প্রেক্ষিতে সহকর্মীরা বর্তমানে বা পরে এই অনুগ্রহ ফিরিয়ে দিতে প্রস্তুত থাকেন। যেন এটিই অলিখিত নিয়ম। এছাড়াও অফিসের অপরাজনীতির শিকার হওয়ার সম্ভাবনাও অনেকাংশে কমে যায়।
একটি অনন্য পেশাদার সম্পর্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি সুন্দর আচরণ হতাশার প্রতিষেধকও বটে। এমন ব্যক্তির চারপাশে থাকাটা মানুষ উপভোগ করে। যা একরকম প্রশান্তি দেয় ও ইতিবাচক মনোভাবকে পুনরুজ্জীবিত করে। সঙ্গে ওই ব্যক্তির প্রতি বিশ্বাস ও সম্মান বাড়ে। ফলে অন্যরাও তার কাছে নিজেকে উন্মুক্ত করার সুযোগ পায়।
মানুষ মাত্রই জৈবিকভাবেই সুন্দর আচরণের শেকলে আবদ্ধ এবং বারবার একই বৈশিষ্ট্যের অনুশীলনের মাধ্যমে তা আরও সমাদৃত হয়।
অনুগ্রহের প্রতিদান কেউ দিতে পারছে কিনা তা না ভেবে, কাউকে সাহায্য করার জন্য একটু এগিয়ে কিংবা পিছিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিলে নিজের জন্য যেমন একটি সুন্দর জীবন পাওয়া যায়, তেমনি সবার জন্যই তৈরি হয় একটি নিঃস্বার্থ পৃথিবী।
অনুবাদ করেছেন তানজিনা আলম
Comments