শুধু লাল-সাদা নয়, বৈশাখে মানাবে এই রংগুলোও
দরজায় কড়া নাড়ছে পহেলা বৈশাখ। জীর্ণতা, মলিনতাকে মুছে দিয়ে আরও একটি নতুন বাংলা বছরকে বরণ করে নিতে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। দোকানে দোকানে হালখাতা, পান্তা ইলিশ খাওয়া, বৈশাখী মেলা, মুখোশ পরার মতো লাল-সাদা পোশাকও বৈশাখের নিজস্ব ঐতিহ্যের একটি অংশ।
তবে সময়ের সঙ্গে বৈশাখের পোশাকেও লেগেছে পরিবর্তনের ছোঁয়া, পোশাকের রঙে এসেছে নতুনত্ব। এখন আর নববর্ষ মানেই কেবল লাল-সাদা পোশাকের আধিপত্য নয়, বরং বাহারি রঙের পোশাকে পহেলা বৈশাখ হয়ে উঠছে আরও বেশি রঙিন।
নববর্ষে নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তুলতে বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের যে কোনো রঙ। ট্রেন্ডের সঙ্গে গা না ভাসিয়ে নিজের পছন্দকে প্রাধান্য দিন। এতে মনে উৎসবের আমেজ যেমন থাকবে, আত্মবিশ্বাসও অটুট থাকবে সমানভাবে।
এবারের নববর্ষে নারীরা লাল পেড়ে সাদা শাড়ির পরিবর্তে বেছে নিতে পারেন বেগুনি, নীল, কমলা, ম্যাজেন্টার মতো রঙ। এ ছাড়াও গাঢ় লাল, গোল্ডেন ইয়ালো, লাইম গ্রিন, ক্যারামাইন, ক্রিমসন, আইস ব্লু, কপার, অরেঞ্জ রুবি, আম্বারের বিভিন্ন শেডের শাড়ি অথবা কুর্তি বেছে নিতে পারেন।
তাপমাত্রা বেশি থাকার কারণে আরামদায়ক কাপড় যেমন সুতি, খাদি অথবা লিনেনের কাপড় বেছে নিতে পারেন। গরমের কারণে সিল্ক, তসর, কাতান কিংবা জর্জেটের পোশাক না পরাই ভালো। বেগুনি রঙের সঙ্গে সবুজের কম্বিনেশন অথবা খয়েরি শাড়িতে সোনালি জরির পাড়— সবকিছুই বৈশাখের পোশাকে রাখতে পারেন। মনে রাখবেন, বৈশাখের দিন রঙিন থাকাই মুখ্য।
অনেকে হালকা রঙের পোশাক পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। তাছাড়া হালকা রঙের শাড়ির সঙ্গে রঙিন কারুকাজে সজ্জিত ব্লাউজ আপনাকে করে তুলতে পারে স্নিগ্ধ, লাবণ্যময়। এক্ষেত্রে অফ হোয়াইট, বাদামি, হালকা আকাশী, ল্যাভেন্ডার, ক্রিম কালারের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। হালকা রঙের কামিজ পরতে চাইলে বেছে নিতে পারেন রঙিন ওড়না।
নারীদের পোশাকের পাশাপাশি পুরুষের পোশাকেও রঙের ক্ষেত্রে রাখতে পারেন বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। পাঞ্জাবি বা ফতুয়া পরে পালন করতে পারেন এবারের বৈশাখ। একরঙা পোশাক পরতে চাইলে বেছে নিতে পারেন নেভি ব্লু, বেগুনি, খয়েরি, বাদামি, স্কারলেট, টারকোয়াইজ বা ফিরোজা রঙের পাঞ্জাবি। মাল্টি কালারের প্রিন্টের পাঞ্জাবিও হালের ফ্যাশনে রয়েছে।
পহেলা বৈশাখের পোশাকের নকশার ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ সবাই বেছে নিতে পারেন নকশি কাঁথার কাজ, হ্যান্ডপেইন্টিং, ব্লক, হাতের কাজ ও অ্যামব্রয়ডারির কাজ, যাতে আছে বাংলা ও বাঙালির চিরায়ত সংস্কৃতির আবহ।
Comments