Skip to main content
T
বৃহস্পতিবার, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
The Daily Star Bangla
আজকের সংবাদ English
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে
  • E-paper
  • English
English T
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে

  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
ইতিহাস
.  মুক্তিযুদ্ধ

মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষী শুভপুর সেতু, আজও স্পষ্ট গুলির চিহ্ন

ঢালাই লোহার কয়েক ইঞ্চি পুরু গার্ডার। সেই গার্ডারও যে ছিদ্র হতে পারে, না দেখলে যে কারোর কাছেই তা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। ব্রিজের গার্ডারের কোনো কোনো অংশের ঝাঁঝরির মতো ফুটো। এর সবই মেশিনগানের বুলেটের দাগ। লোহার পুরু পাত ভেদ করে যাওয়া মেশিনগানের গুলি আজও জানান দেয়, মুক্তিযুদ্ধে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই সেতু।
আহমাদ ইশতিয়াক
Mon Nov ১৪, ২০২২ ০৯:০৬ অপরাহ্ন সর্বশেষ আপডেট: Mon Nov ১৪, ২০২২ ০৯:০৬ অপরাহ্ন
মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের স্মৃতিবহুল শুভপুর সেতু। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক

ঢালাই লোহার কয়েক ইঞ্চি পুরু গার্ডার। সেই গার্ডারও যে ছিদ্র হতে পারে, না দেখলে যে কারোর কাছেই তা অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে। ব্রিজের গার্ডারের কোনো কোনো অংশের ঝাঁঝরির মতো ফুটো। এর সবই মেশিনগানের বুলেটের দাগ। লোহার পুরু পাত ভেদ করে যাওয়া মেশিনগানের গুলি আজও জানান দেয়, মুক্তিযুদ্ধে কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই সেতু।

বলছিলাম শুভপুর সেতুর কথা। সেতুর দক্ষিণাংশে চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার করেরহাট ইউনিয়ন, উত্তর পাশে ফেনীর ছাগলনাইয়ার শুভপুর ইউনিয়ন। সেতুর নিচ দিয়ে প্রবাহমান খরস্রোতা ফেনী নদী বিভক্ত করেছে ২টি জেলাকে।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

এক সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কে চলাচলের অন্যতম মাধ্যম ছিল এই শুভপুর সেতু। ঢাকা-কুমিল্লা বা ফেনী থেকে চট্টগ্রামে যেতে হলে এই সেতু দিয়েই যেতে হতো। ফলে সেতুটি যাতায়াতের জন্য ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় পাকিস্তানি বাহিনী এবং মুক্তিবাহিনী ২ পক্ষই শুভপুর সেতুর দখল নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। মুক্তিযুদ্ধে মোট ৪ বার যুদ্ধ হয়েছিল শুভপুর সেতুতে। প্রতিটি যুদ্ধই ছিল ভয়াবহ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধঃ দলিলপত্রের নবম খণ্ড এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ সেক্টর ভিত্তিক ইতিহাস সেক্টর ১ এ শুভপুর সেতুতে ৪ বার সরাসরি যুদ্ধের কথা বর্ণিত আছে। এ ছাড়া এই সেতুর দখল নিয়ে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মধ্যে হয়েছে অসংখ্য খণ্ড যুদ্ধ।

শুভপুর সেতুর যুদ্ধগুলো কতটা ভয়াবহ ছিল তা জানতে চাইলে করেরহাট ইউনিয়নের জয়পুর পূর্ব জোয়ার গ্রামের বাসিন্দা আলী আহমদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এপ্রিল-মে মাসের দিকে রাতে আমরা বাড়িতে ঘুমানো তো দূরের কথা, বাড়ির ধারেকাছেও থাকতে পারতাম না। গোলাগুলির শব্দে যেন কানের পর্দা ফাইটা যাইব। পায়ের তলার মাটি থরথর করে কাঁপত। সেতুর ধারেকাছেও আসার উপায় ছিল না। দিন নাই, রাত নাই খালি গোলাগুলির শব্দ।'

সম্প্রতি শুভপুর সেতু যাওয়া হয় এই প্রতিবেদকের। দেখা যায়, সেতুর ২ পাশে বেশ কয়েকটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। পাশেই বালুমহাল। বেশি বালু উত্তোলন এবং নদী ভাঙনের কারণে নদীর আয়তন বৃদ্ধি পাওয়ায় আগের শুভপুর সেতু হয়ে গেছে কয়েক গুণ দীর্ঘ। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত সেতুটি পড়ে গেছে একাংশে। বর্তমানে শুভপুর সেতুর দীর্ঘ ৩৭৪ মিটার হলেও মুক্তিযুদ্ধের সময় তা ছিল ১২৯ মিটার।

শুভপুর সেতুতে মেশিনগানের বুলেটের দাগ, যা জানান দিচ্ছে মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের স্মৃতি। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক

বছর কয়েক ধরে মাত্রাতিরিক্ত বালু উত্তোলনের কারণে শুভপুর সেতু এখন বেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত সেতুর একাংশ দাঁড়িয়ে আছে জরাজীর্ণ অবস্থায়। যুদ্ধের সময় সেতুর মাঝের পাটাতন চরম ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পরবর্তীতে আর তা পুরোপুরি সংস্কার করা হয়নি।

মুক্তিযুদ্ধের ২৫ মার্চ কালরাতে শুভপুর সেতুতে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল স্থানীয় জনতা। এর প্রধান ও একমাত্র কারণ ছিল পাকিস্তানি বাহিনী যেন ঢাকা কিংবা কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রামে প্রবেশ করতে না পারে।

চট্টগ্রাম ক্যান্টনমেন্টে অষ্টম ইস্ট বেঙ্গলের বাঙালি অফিসার ও সেনারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে অবাঙালি সেনা অফিসারদের বন্দী করে ফেললে বাঙালি সেনাদের হাতে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে চট্টগ্রাম নগর। অনুমান করা হচ্ছিল, কুমিল্লায় থাকা চতুর্থ  ইস্ট বেঙ্গলের পাকিস্তানি সেনারা সড়ক পথে চট্টগ্রামে গিয়ে আক্রমণ চালাতে পারে। সেক্ষেত্রে যদি কোনোভাবে শুভপুর সেতু ধ্বংস করা যায় তাহলে হানাদারদের চট্টগ্রামের দিকে যাতায়াত ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। সেতু মেরামত করে চট্টগ্রামে পৌঁছাতে হানাদারদের বেশি সময় লাগবে। ফলে সেদিন রাতেই তাৎক্ষনিকভাবে সিদ্ধান্ত হয় শুভপুর সেতু ধ্বংসের।

শুভপুর সেতু ধ্বংসের দায়িত্ব নেন তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন। ২৫ মার্চ রাতে করেরহাট বাজারে এক জরুরি সভায় তিনি সেতু ধ্বংসের আহ্বান জানান। এরপর স্থানীয় জনতা স্থানীয় পেট্রোল পাম্প থেকে কেরোসিন সংগ্রহ করতে যায়। পেট্রোল পাম্পের মালিক এক পর্যায়ে কেরোসিন দিতে বাধ্য হন। তখন জনতা ড্রামভর্তি কেরোসিন তেল ও আলকাতরা সেতুতে ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেয়।

নদী তীরে চলছে অবাধে বালু উত্তোলন। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেতুটি। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক

কিন্তু কুমিল্লা থেকে আসা পাকিস্তানি সেনারা সেতুর পাটাতনে মোটা তারের নেট বিছিয়ে পার হয়ে যায়। যাওয়ার সময় তারা শুভপুর সেতু নিজেদের দখলে রাখার জন্য এক সেকশন সেনা মোতায়েন করে যায়।

মীরসরাইয়ের তৎকালীন প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'আমরা শুভপুর ব্রিজে গিয়ে ব্রিজের লোহার উপর বসানো কাঠের পাটাতনে থাকা বিটুমিনে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিলাম। তখন জ্বলতে শুরু করল। আমাদের সঙ্গে পর্যাপ্ত বিস্ফোরক না থাকায় আমরা সেতু ধ্বংস করতে পারলাম না। কিন্তু কিছুটা চলাচলের অনুপযোগী করতে পেরেছিলাম। তবে ওরা অনেকাংশেই ঠিক করে ফেলেছিল।'

শুভপুর সেতুর প্রথম যুদ্ধ

শুভপুরে সেতুতে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর প্রথম যুদ্ধ হয় ২৯ মার্চ। এদিন করেরহাট হাইস্কুলে একটি আলোচনা সভায় শুভপুর সেতু দখলের আহ্বান জানান বামপন্থী নেতা ওবায়দুল হক খন্দকার। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে স্থানীয় যুবক ও পশ্চিম অলিনগর বিওপি ক্যাম্পের ইপিআর সেনারা সেতু দখলের জন্য ছুটে যান। প্রথমে তারা অতর্কিত আক্রমণ চালালেও এক পর্যায়ে হানাদাররা এলএমজি, মেশিনগানের মাধ্যমে গুলিবর্ষণ শুরু করলে ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।

শুভপুর সেতুর দ্বিতীয় যুদ্ধ

হাবিলদার মইনউদ্দিন ইপিআর, পুলিশ, আনসার ও স্থানীয় তরুণদের সংগঠিত করেন। সিদ্ধান্ত হয়, যেভাবেই হোক শুভপুর সেতুর দখল নিতেই হবে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হাবিলদার আবুল হাশেমসহ কয়েকজন ইপিআর সেনা অবস্থান নেন সেতুর পূর্ব পাশের একটি পুকুরপাড়ে। তখন পাকিস্তানি সেনারা সেতুর উভয় পাশে বাঙ্কার করে সুরক্ষিত অবস্থায় ছিল।

শুভপুর সেতুর যুদ্ধে শহীদ ২ ইপিআর সেনার সমাধি, স্থানীয়ভাবে যা জোড় কবর নামে পরিচিত। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক
  

৩১ মার্চ ভোরে হাবিলদার মইনের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা বাঙ্কারে অবস্থানরত হানাদারদের ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালান। একইসঙ্গে আবুল হাশেমের নির্দেশে সেতুর পূর্ব দিক থেকে চালানো হয় ৩ ইঞ্চি মর্টারের গোলাবর্ষণ। সঙ্গেসঙ্গে পাকিস্তানি সেনারাও তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুরু হয় ২ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ।  

যুদ্ধের এক পর্যায়ে পাকিস্তানি সেনারা বিক্ষিপ্ত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে। তখন তারা প্রাণ বাঁচাতে পালাতে শুরু করলে মুক্তিযোদ্ধাদের গুলিতে ৭ জন হানাদার সেনা নিহত হয়। এ সময় গ্রামবাসীও ধাওয়া করে এক হানাদার সেনাকে ধরে গণধোলাই দিয়ে হত্যা করে। বাকিরা সেতুর পূর্ব দিক দিয়ে পাহাড়ে আত্মগোপন করে। হানাদারদের গুলিতে শহীদ হন ইপিআর হাবিলদার আবুল হাশেমসহ ৩ জন ইপিআর সেনা। এরপর শুভপুর সেতু চলে আসে মুক্তিযোদ্ধাদের দখলে।

শুভপুর সেতুর তৃতীয় যুদ্ধ

২৩ এপ্রিল ফেনী ও ২৫ এপ্রিল করেরহাটে মুক্তিবাহিনীর পতন হওয়ার পর শুভপুর সেতুতে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা সেতুর দক্ষিণপ্রান্ত থেকে উত্তরপ্রান্তে গিয়ে বাঙ্কার খনন করে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেন। এর পরপরই হানাদাররা করেরহাট থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান বরাবর কামান ও ফেনী নদীর তীর পর্যন্ত ট্যাংকবহর এনে গোলাবর্ষণ শুরু করে। এ সময় মুক্তিযোদ্ধাদের সব বাঙ্কারই উড়ে যায় এবং বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা হতাহত হন।

মীরসরাই থানার তৎকালীন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মির্জা ফিরোজ। ছবি: আহমাদ ইশতিয়াক

কিছু পাকিস্তানি সেনা তখন নদী পার হয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অবস্থান বরাবর আসার প্রচেষ্টা চালায়। কিন্তু তারা নদীর মাঝামাঝি এসে ২ পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে যায়। তখন মুক্তিযোদ্ধারা অপ্রত্যাশিত সুযোগ পেয়ে গুলিবর্ষণের চালালে ১০০ জনের বেশি হানাদার সেনা নিহত হয়। বাধ্য হয়ে হানাদার সেনারা পিছু হটে।

শুভপুর সেতুর চতুর্থ যুদ্ধ

১১ মে শুভপুর সেতুর কাছাকাছি চলে আসে হানাদাররা। তখন সেতুতে প্রতিরক্ষার দায়িত্বে ছিলেন সুবেদার ফখরুদ্দিনের নেতৃত্বে ১০০ জন মুক্তিযোদ্ধা। শুভপুর সেতু দখলের লক্ষ্যে উত্তর ও পশ্চিম দিকে এক ব্যাটেলিয়ন সেনা সমাবেশ ঘটায় হানাদার বাহিনী। তখন মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সীমান্তকে পিছনে রেখে উত্তর-পশ্চিম দিকে প্রতিরক্ষা অবস্থান নেন।

১২ মে সকাল ১১টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের শুভপুর সেতুর অবস্থানের ওপর অতর্কিত আর্টিলারি ফায়ার শুরু করে হানাদার বাহিনী। দিনব্যাপী চলা যুদ্ধে শহীদ হন কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধা। তীব্র গোলাবর্ষণের কারণে আহত মুক্তিযোদ্ধাদের সরিয়ে আনা, তাদের সাহায্যের জন্য নতুন সেনা পাঠানো এবং খাবার সরবরাহ তখন অসম্ভব হয়ে পড়ে। একটানা যুদ্ধ ও তীব্র ক্ষুধায় পরিশ্রান্ত হয়ে পড়েন মুক্তিযোদ্ধারা। এরমধ্যে সামান্য ৩০৩ গাদা বন্দুক, ১টি পুরনো ভারি মেশিনগান ও ২টি হালকা মেশিনগান দিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া অসম্ভব হয়ে পড়ে তাদের পক্ষে।

বিকেল ৫টার দিকে ট্যাংকের গোলাবর্ষণে নষ্ট হয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধাদের মেশিনগানগুলোও। তখন হানাদাররা ৪০০ গজের মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। শেষমেশ বাধ্য হয়ে পিছু হটার সিদ্ধান্ত নেন মুক্তিযোদ্ধারা। তখন সীমান্তবর্তী এলাকায় যারা ছিলেন তারা নিরাপদে পিছু হটতে পারলেও বাকি মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্রের অভাবে এক পর্যায়ে হাতাহাতি যুদ্ধ শুরু করেন এবং শেষ পর্যন্ত অসীম বীরত্বের সঙ্গে লড়াই করে শহীদ হন।

এই যুদ্ধগুলো ছাড়াও শুভপুর সেতুর দখল নিয়ে মুক্তিবাহিনী ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের জুলাই, আগস্ট, সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বর মাসে অসংখ্য খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে। ৬ ডিসেম্বর ফেনী মুক্ত করে মুক্তিযোদ্ধারা ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ধরে ৯ ডিসেম্বর শুভপুর সেতু দখল করেন।

মীরসরাই থানার তৎকালীন সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মির্জা ফিরোজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শুভপুর সেতু নিয়ে এত যুদ্ধ হওয়ার একটাই কারণ। তা হলো আমরা মুক্তিযোদ্ধা এবং পাকিস্তানিরা ২ পক্ষই চাইতাম যে করেই হোক শুভপুর সেতুর দখল নিজেদের হাতে রাখতে হবে। তাহলে ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডও আমাদের দখলেই থাকবে।'

মুক্তিযুদ্ধে শুভপুর সেতু এত গুরুত্বপূর্ণ কেন জিজ্ঞেস করলে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেন, 'শুভপুর সেতুতে যদি পাকিস্তানি বাহিনী বাধা না পেত তবে তারা নিরাপদেই চট্টগ্রামের দখল নিয়ে ভয়াবহ গণহত্যা চালাত। তাতে ২৭ মার্চ কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে যে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করা হয়েছিল তা সম্ভব হতো না। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে শুভপুর সেতুটি তাই বাঁকবদলের সাক্ষী।'

 

সম্পর্কিত বিষয়:
মুক্তিযুদ্ধশুভপুর সেতু
Apple Google
Click to comment

Comments

Comments Policy

সম্পর্কিত খবর

দিলীপ মহলানবিশ
১ সপ্তাহ আগে | ইতিহাস

দিলীপ মহলানবিশ: মুক্তিযুদ্ধের এক মানবিক চিকিৎসক বন্ধু

রাজনীতি
১ মাস আগে | সাহিত্য

সময় ও সমাজ যাচ্ছে কোন দিকে

১ মাস আগে | ইতিহাস

ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরও যুদ্ধ চলেছিল যেসব জায়গায়

১ মাস আগে | ইতিহাস

শামসুল আলম বীর উত্তম: শত প্রতিকূলতাও যাকে থামাতে পারেনি

১ মাস আগে | বাংলাদেশ

শহীদ বুদ্ধিজীবী ডা. ফজলে রাব্বি: সাফল্যের হাতছানি ফেলে বুলেটের সামনে

The Daily Star  | English

What we know about the Turkey and Syria earthquake

Some of the heaviest devastation occurred near the quake's epicentre between Kahramanmaras and Gaziantep, where entire city blocks lay in ruins.

51m ago

Bangladesh considers sending rescue team to Syria

32m ago
The Daily Star
সাহসিকতা • সততা • সাংবাদিকতা
  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
© 2023 thedailystar.net | Powered by: RSI LAB
Copyright: Any unauthorized use or reproduction of The Daily Star content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.