Skip to main content
T
মঙ্গলবার, মার্চ ২১, ২০২৩
The Daily Star Bangla
আজকের সংবাদ English
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে
  • E-paper
  • English
অনুসন্ধান English T
  • আজকের সংবাদ
  • বাংলাদেশ
  • আন্তর্জাতিক
  • মতামত
  • স্বাস্থ্য
  • খেলা
  • বাণিজ্য
  • বিনোদন
  • জীবনযাপন
  • সাহিত্য
  • শিক্ষা
  • প্রযুক্তি
  • প্রবাসে

  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
ইতিহাস

ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরও যুদ্ধ চলেছিল যেসব জায়গায়

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় সংঘটিত হলেও দেশের বহু অঞ্চলে যুদ্ধ চালিয়ে যায় তারা। ঢাকায় আত্মসমর্পণের আগে যেমন দেশের বহু জেলা ও অঞ্চল হানাদারমুক্ত হয়েছিল, ঠিক তেমনি ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরেও দেশের বহু এলাকা মুক্ত হয়। ১৬ ডিসেম্বরের পরে মুক্ত হওয়া দেশের এমন কয়েকটি জেলা, মহকুমা ও অঞ্চলের বর্ণনা তুলে ধরা হলো।
আহমাদ ইশতিয়াক
বুধবার ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ১২:৩১ অপরাহ্ন সর্বশেষ আপডেট: বুধবার ডিসেম্বর ২১, ২০২২ ১২:৩১ অপরাহ্ন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিজয়োল্লাস। ছবি: সংগৃহীত

১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) মিত্রবাহিনীর কাছে নিঃশর্তভাবে আত্মসমর্পণ করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এই আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চূড়ান্ত পরাজয় সংঘটিত হলেও দেশের বহু অঞ্চলে যুদ্ধ চালিয়ে যায় তারা। ঢাকায় আত্মসমর্পণের আগে যেমন দেশের বহু জেলা ও অঞ্চল হানাদারমুক্ত হয়েছিল, ঠিক তেমনি ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পরেও দেশের বহু এলাকা মুক্ত হয়। ১৬ ডিসেম্বরের পরে মুক্ত হওয়া দেশের এমন কয়েকটি জেলা, মহকুমা ও অঞ্চলের বর্ণনা তুলে ধরা হলো।

খুলনায় পাকিস্তানি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে ১৭ ডিসেম্বর 

১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণ করা স্বত্বেও তা মেনে নেননি যশোরে থাকা পাকিস্তানি ১০৭ ব্রিগ্রেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার হায়াত খান। তিনি তার ট্যাংক রেজিমেন্ট ও ৪ হাজার সেনা নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে অটল থাকেন।

সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলে।

এর আগে ৭ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত খুলনার যুদ্ধের নেতৃত্বে ছিলেন ভারতীয় মেজর জেনারেল দলবীর সিং, ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর আবুল মঞ্জুর ও ৯ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার মেজর জলিল। ১৪ ডিসেম্বর মেজর জেনারেল দলবীর সিং মেজর মঞ্জুরের হাতে যুদ্ধের নেতৃত্বের ভার অর্পণ করলে মেজর মঞ্জুর  মেজর খন্দকার নাজমুল হুদাকে সঙ্গে নিয়ে আক্রমণের কৌশল তৈরি করে গল্লামারি রেডিও স্টেশনের দিকে যাত্রা শুরু করেন।  ভারতীয় বাহিনীও শিরোমণি এলাকায় পৌঁছে পাকিস্তানি বাহিনীর উপর গোলাবর্ষণ করতে থাকে। ১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বর খণ্ড খণ্ড যুদ্ধের পর পাকিস্তানি বাহিনী শিরোমণি এলাকায় ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়ে যায়। 

১৬ ডিসেম্বর আত্মসমর্পণে রাজি না হওয়ায় মেজর মঞ্জুরের নেতৃত্বে শুরু হয় আক্রমণ। যুদ্ধের একপর্যায়ে  মেজর মঞ্জুর ডকইয়ার্ডের শ্রমিকের বেশে ২টি স্টেনগান নিয়ে হানাদারদের ট্যাংকের ভিতরে ঢুকে খুঁজে খুঁজে গানম্যানদের হত্যা করে  স্তব্ধ করে দেন পাকিস্তানিদের ট্যাংক বহর। 

সারারাত যুদ্ধের পর ১৭ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি লঞ্চ শিপইয়ার্ডে এসে পৌঁছানো মাত্রই পাকিস্তানিদের অতর্কিত আক্রমণের শিকার হয়। তখন মুক্তিযোদ্ধারা পাল্টা আক্রমণ চালালে একপর্যায়ে টিকতে না পেরে হানাদার বাহিনী শিরোমণি নসু খানের ইটভাটার কাছে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। কিছুক্ষণের মধ্যে মুক্তিবাহিনী খুলনা সার্কিট হাউসও দখলে নিলে হানাদাররা এদিন দুপুরে সার্কিট হাউস মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে লিখিতভাবে আত্মসমর্পণ করে। 

রাজশাহীও হানাদারমুক্ত হয় ১৭ ডিসেম্বর 

১৬ ডিসেম্বর রাজশাহী জেলার চাঁপাইনবাবগঞ্জ মহকুমা হানাদার মুক্ত হওয়ার পরে পাকিস্তানি সেনারা সেখান থেকে পালিয়ে জড়ো হয়  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জোহা হল, বোয়ালিয়া ক্লাব ও উপশহরের বিভিন্ন ক্যাম্পে। ১৭ ডিসেম্বর ৭ নম্বর সেক্টরের ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা উত্তর, পূর্ব পশ্চিম ও দক্ষিণে পদ্মা নদীর চরাঞ্চলে প্রতিরোধ গড়ে তুলে রাজশাহী শহরের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন।

১৭ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জোহা হল ছেড়ে নাটোরের দিকে চলে যায়। ১৮ ডিসেম্বর সকালে রাজশাহীর মাদরাসা হাইস্কুল মাঠে ক্যাপ্টেন গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রমের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই হানাদারমুক্ত হয় রাজশাহী। 

পাবনা হানাদারমুক্ত হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর 

১৮ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় পাবনা। এর আগে ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনী পাবনায় ব্যাপক বিমান হামলা চালায়। পরবর্তীতে মুক্তিবাহিনী ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনীর ওপর ত্রিমুখী আক্রমণ চালায়। এ সময় মুক্তিবাহিনীর পক্ষ থেকে বারবার আত্মসমর্পণের আহ্বান করা হলেও হানাদার বাহিনী প্রাণভয়ে আত্মসমর্পণে রাজি না হয়ে  পাবনায় ঢোকার সব পথে গাছের গুঁড়ি ফেলে রাখে। ১৮ ডিসেম্বর সকালে মিত্রবাহিনীর ক্যাপ্টেন নান্দা পাবনায় এলে হানাদাররা তার কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরে মুক্তিবাহিনী শহরে ঢুকে ডিসি অফিসের সামনে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করে।

ঈশ্বরদী মুক্ত হয় ১৯ ডিসেম্বর 

১৯ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় পাবনার ঈশ্বরদী। এর আগে ঈশ্বরদীতে থাকা বিহারিরা লোকশেড এলাকায় আত্মগোপন করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল। বিহারিদের সঙ্গে সংঘর্ষে এ সময়ে ৩৩ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৯ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী মুক্ত হলেও ২ দিন সময় নিয়ে ২১ ডিসেম্বর পাকিস্তানি  সেনারা ঈশ্বরদী থেকে পালিয়ে যায়। 

নওগাঁ হানাদারমুক্ত হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর 

১৮ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় নওগাঁ। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আত্মসমর্পণের পর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে বৈঠক হয়।  ১৭ ডিসেম্বরের ওই বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মুক্তিযোদ্ধারা  নওগাঁ শহরের দিকে অগ্রসর হলে পাকিস্তানি সেনারা মর্টার শেল নিক্ষেপ শুরু করে। এক পর্যায়ে হানাদারদের সঙ্গে জগৎসিংহপুর ও খলিশাকুড়িতে সম্মুখযুদ্ধ মুক্তিবাহিনীর।  এসময় ৬ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৮ ডিসেম্বর  বগুড়া ও পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট থেকে মিত্রবাহিনীর ২টি পদাতিক দল মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যুদ্ধে যোগ দিলে হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের সিদ্ধান্ত নেয়। 

১৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টার দিকে নওগাঁ কেডি স্কুল মাঠে মেজর সাঈদ আহমেদের নেতৃত্বাধীন ১ হাজার ৯০০ পাকিস্তানি সেনা যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। পরবর্তীতে ক্যাপ্টেন গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী উপস্থিতিতে সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।

রাজবাড়ী হানাদারমুক্ত হয়েছিল ১৮ ডিসেম্বর  

১৮ ডিসেম্বর রাজবাড়ী হানাদারমুক্ত হয়। এর আগে ১৬ ডিসেম্বর রাজবাড়ীর  বিহারিরা ঘোষণা দিয়েছিল, 'পুরো দেশ মুক্তিবাহিনীর আওতায় চলে গেলেও, রাজবাড়ী পাকিস্তানি ভূখণ্ড হিসেবেই থাকবে।'  ১৭ ডিসেম্বর বিভিন্ন জেলা থেকে আগত মুক্তিযোদ্ধারা দলে দলে রাজবাড়ীতে এসে বিভিন্ন প্লাটুনে বিভক্ত হয়ে  শহরের চারদিক ঘেরাও করে। কয়েক প্লাটুন মুক্তিযোদ্ধা রাজবাড়ী বিহারি ক্যাম্পের চতুর্দিকে অবস্থান নেন।  এসময় বিহারিরা  রেলওয়ে লোকোশেড থেকে ড্রাই আইস ফ্যাক্টরি পর্যন্ত রেলের ট্রলি দিয়ে বাধা সৃষ্টি করে। এদিন বিকেলের দিকে মুক্তিযোদ্ধারা মাগুরার শ্রীপুর থেকে মর্টার এনে বিহারি ও পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর মর্টার হামলা চালালে ফরিদপুরের দিকে পালাতে শুরু করে বিহারিরা।

বাগেরহাট হানাদারমুক্ত হয় ১৭ ডিসেম্বর

১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আত্মসমর্পণের পরও বাগেরহাটে যুদ্ধ চালিয়ে যায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী।  ১৭ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে বাগেরহাট শহরের ডাকবাংলোর রাজাকার ক্যাম্প দখল করে সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধারা ২টি দলে বিভক্ত হয়ে বাগেরহাট শহরের দিকে এগুতে থাকেন। এরমধ্যে বাগেরহাট সাব সেক্টর কমান্ডার তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা মুনিগঞ্জ খেয়াঘাট পাড়ি দিয়ে  বাগেরহাটে প্রবেশ করে। রফিকুল ইসলাম খোকন ও সৈয়দ আলীর নেতৃত্বে থাকা  অন্য দলটি সুলতানপুর হয়ে মাঝিঘাট দিয়ে শহরে প্রবেশ করে রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালালে রাজাকার, আলবদর ও পাকিস্তানি প্রতিরোধ গড়ে তুলে। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধাদের সাঁড়াশি আক্রমণের মুখে কুখ্যাত রাজাকার রজব আলী ফকিরের নেতৃত্বে বেশিরভাগ হানাদার পালিয়ে যায়। ১৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় বাগেরহাট।

সৈয়দপুর হানাদারমুক্ত হয় ১৮ ডিসেম্বর

১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আত্মসমর্পণের পরও নীলফামারীর সৈয়দপুর শহর ছিল বিহারি ও হানাদার সেনাদের কাছে অবরুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনীর যৌথ আক্রমণে পিছু হটতে বাধ্য হয় বিহারি ও হানাদার সেনারা। ১৮ ডিসেম্বর সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। 

কিশোরগঞ্জ হানাদারমুক্ত হয় ১৭ ডিসেম্বর 

১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আত্মসমর্পণের পরেও কিশোরগঞ্জে যুদ্ধ চলছিল। এদিন রাতে মুক্তিবাহিনীর মুহুর্মুহু আক্রমণে হানাদার বাহিনী পর্যুদস্ত হতে থাকে। একপর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধাদের আক্রমণে টিকতে না পেরে ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে হানাদার সেনারা কিশোরগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যেতে শুরু করে। পরে এদিন সকাল ৯টার দিকে কবীর আহমদের নেতৃত্বে একদল মুক্তিযোদ্ধা কিশোরগঞ্জ শহরে প্রবেশ করেন। এরপরই ভারতীয় ক্যাপ্টেন চৌহানের নেতৃত্বে যৌথবাহিনীর সদস্যরা দলে দলে শহরে প্রবেশ করতে শুরু করেন।  এদিন  শহরের পুরান থানা শহীদি মসজিদ সংলগ্ন ইসলামিয়া ছাত্রাবাস মাঠে মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করে রাজাকার ও আলবদর সদস্যরা। 

১৭ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় রাঙ্গামাটি  

১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আত্মসমর্পণের পর পাকিস্তানপন্থী মিজোবাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে টিকতে না পেরে রাঙ্গামাটি ছেড়ে পালিয়ে যায়। এসময় হানাদার বাহিনী সরে গেলে বাঘাইছড়ি থেকে নদীপথে মুক্তিযোদ্ধারা রাঙ্গামাটিতে প্রবেশ করেন। ১৭ ডিসেম্বর রাঙ্গামাটির পুরাতন কোর্ট বিল্ডিং মাঠে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযোদ্ধারা। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে মুক্ত হয় রাঙ্গামাটি। 

১৯ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় ভৈরব 

১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় আত্মসমর্পণের পর ভৈরবের জব্বার জুট মিলে যৌথবাহিনীর কাছে কার্যত ২ দিন ধরে অবরুদ্ধ হয়ে থাকে ১০ হাজার পাকিস্তানি সেনা। ১৮ ডিসেম্বর যৌথবাহিনী হানাদারদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিলে ১৯ ডিসেম্বর সকালে ভৈরব রেলস্টেশনে যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় হানাদার বাহিনী।

২১ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় নাটোর 

১৭ ডিসেম্বর রাজশাহী হানাদার মুক্ত হলেও নাটোর ছিলো অবরুদ্ধ। শেষ পর্যন্ত ২১ ডিসেম্বর পাকিস্তানি মেজর জেনারেল নজর হোসেন আনুষ্ঠানিকভাবে মিত্র বাহিনীর আঞ্চলিক কমান্ডার লেফট্যানান্ট জেনারেল লসমন সিং এর কাছে আত্মসমর্পণের করলে নাটোর হানাদারমুক্ত হয়।

২৩ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় হোমনা 

ঢাকায় আত্মসমর্পণের এক সপ্তাহ পর ২৩ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত হয় কুমিল্লার হোমনা। এদিন বাঞ্ছারামপুর, দাউদকান্দি, মুরাদনগর ও কুমিল্লার ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট থেকে আগত যৌথবাহিনীর সদস্যদের ট্যাংক ও সম্মিলিত আক্রমণের একপর্যায়ে সম্পূর্ণভাবে শক্রমুক্ত হয় কুমিল্লার হোমনা থানা।

এর আগে ১৪ ডিসেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর ক্যাম্প থেকে লঞ্চে করে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাগুটিয়া লঞ্চঘাটের কাছে শতাধিক হানাদার সেনার উপর আক্রমণ চালান মুক্তিযোদ্ধারা। তখন হানাদার বাহিনী ঘাগুটিয়া মসজিদে আশ্রয় নিয়ে পুরো গ্রামে লুটপাট চালিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এ খবর মুরাদনগর ও দাউদকান্দিতে অবস্থানরত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে এলে  তারা  ঘাগুটিয়াতে হানাদারদের উপর অতর্কিত আক্রমণ চালান। পরে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট থেকে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা এসে যুদ্ধে যোগ দিয়ে ঘাগুটিয়া মুক্ত করেন। 

সূত্র:  বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ- সেক্টরভিত্তিক ইতিহাস 

সম্পর্কিত বিষয়:
মুক্তিযুদ্ধআত্মসমর্পণপাকিস্তানি বাহিনীঅন্য জায়গা
Apple Google
Click to comment

Comments

Comments Policy

সম্পর্কিত খবর

১ মাস আগে | ভারত

পদ্ম বিভূষণ পাচ্ছেন একাত্তরের চিকিৎসক বন্ধু দিলীপ মহলানবিশ

২১ আগস্ট, গ্রেনেড হামলা
১ মাস আগে | অপরাধ ও বিচার

৩ সপ্তাহের মধ্যে বিমানের ১৭ কর্মকর্তাকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বিজয়ের ৫১ বছরেও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি পাননি তারা
৩ মাস আগে | ইতিহাস

বিজয়ের ৫১ বছরেও শহীদ পরিবারের স্বীকৃতি পাননি তারা

৩ মাস আগে | সাহিত্য

বিশ্বগণমাধ্যমে একাত্তরের ডিসেম্বর

অন্ধকারাচ্ছন্ন সময় শেষে নতুন সূর্য উঠেছিল আজ
৩ মাস আগে | ইতিহাস

অন্ধকারাচ্ছন্ন সময় শেষে নতুন সূর্য উঠেছিল আজ

The Daily Star  | English

All advance Eid tickets of intercity trains to be sold online

Bangladesh Railway is going to sell all of the advance Eid tickets of intercity trains online.

28m ago

Overspeeding main cause of Madaripur crash: probe body member

1h ago
The Daily Star
সাহসিকতা • সততা • সাংবাদিকতা
  • ABOUT US
  • CONTACT US
  • SMS SUBSCRIPTION
  • ADVERTISEMENT
  • APPS
  • NEWSLETTER
© 2023 thedailystar.net | Powered by: RSI LAB
Copyright: Any unauthorized use or reproduction of The Daily Star content for commercial purposes is strictly prohibited and constitutes copyright infringement liable to legal action.