আজ হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী

ছবি: সংগৃহীত

প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও গণতন্ত্রের মানসপুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকী আজ। তিনি ১৯৬৩ সালের ৫ ডিসেম্বর লেবাননের বৈরুতে একটি হোটেল কক্ষে নিঃসঙ্গ অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ঢাকার সুপ্রিমকোর্টের পাশে তিন নেতার মাজারে সমাধি রয়েছে তার।

১৮৯২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তিনি ছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের খ্যাতনামা বিচারপতি স্যার জাহিদ সোহরাওয়ার্দীর কনিষ্ঠ সন্তান।

তিনি ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি মুসলিম লীগ সরকারের একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী করেন। শুধু একজন রাজনৈতিক নেতাই নন, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী রাষ্ট্রনায়কও। তার প্রচেষ্টায় ১৯৫৬ সালে পাকিস্তানের প্রথম সংবিধান প্রণীত হয়। শহীদ সোহরাওয়ার্দী পাকিস্তানের সামরিক স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর বাঙালির যে জাতীয়তাবাদী চেতনার উন্মেষ ঘটেছিল, তার নেতৃত্বসহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। তার রাজনৈতিক দূরদর্শিতার ফল হিসেবে আসে ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট এবং অবিস্মরণীয় বিজয়। আর গণতান্ত্রিক রীতি ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকায় সুধী-সমাজ তাকে 'গণতন্ত্রের মানসপুত্র' বলে আখ্যায়িত করে।

অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেবের প্রভাব যে কতটা স্পষ্ট, তা 'অসমাপ্ত আত্মজীবনী' বইটি পড়লেই ঝকঝকে হয়ে উঠবে। এতে সবচেয়ে বেশি বার যার কথা এসেছে তিনি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। প্রায় পুরো বইয়েই বঙ্গবন্ধু তাঁকে 'শহীদ সাহেব' বলে সম্বোধন করেছেন। সোহরাওয়ার্দী ছিলেন একাধারে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতিতে আসার প্রেরণা, রাজনৈতিক পরামর্শদাতা এবং পরম শ্রদ্ধার পাত্র।

Comments

The Daily Star  | English
Yunus goes to Vatican for Pope Francis funeral

Yunus lands in Rome

The chief adviser is visiting the Vatican to attend Pope Francis' funeral

23m ago