রবীন্দ্রনাথ ব্যক্তি থেকে জাতীয় জীবনে অনিবার্যভাবে প্রাসঙ্গিক
রবীন্দ্রনাথ আমাদের ব্যক্তিজীবন থেকে জাতীয় জীবনে অনিবার্যভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে আছেন।
আজ রোববার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তাদের আলোচনায় বারবার এই কথাটিই প্রতিধ্বনিত হয়েছে।
আজ সকালে একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে 'সমুখে শান্তি পারাবার' শীর্ষক বক্তৃতা দেন প্রাবন্ধিক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শিরীণ আখতার। এ ছাড়া স্বাগত ভাষণ দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন।
অধ্যাপক শিরীণ আখতার বলেন, রবীন্দ্রপ্রয়াণের বেদনা আমাদের বিধুর করে সত্য কিন্তু আমরা উপলব্ধির গভীর কন্দরে দৃষ্টি দিলে দেখি, কবি আমাদের সামগ্রিক জীবনযাপনের মধ্যে আমাদের যাবতীয় কর্ম ও ভাবনার অনুষঙ্গে প্রবলভাবে উপস্থিত। সৃষ্টির পরিমাণ ও বৈচিত্র্য দিয়েই যে তিনি বাঙালিকে সমৃদ্ধ করেছেন তা নয়, চিন্তা ও দর্শনের গভীরতা দিয়ে বাঙালিকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন তার জাতিগত চেতনাবিকাশের প্রয়োজনীয় মুহূর্তে।
কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, রবীন্দ্রনাথ যেমন শুভবোধের জন্মকে তার ঐন্দ্রজালিক সৃষ্টিতে ভাস্বর করেছেন তেমনি মৃত্যুও তার সাহিত্যে উদ্ভাসিত হয়েছে জন্মেরই নতুন স্মারক-রূপে। কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, রবীন্দ্রনাথের প্রয়াণ আমাদের জন্য বেদনাবহ তবে মৃত্যুকে অমৃত করে আস্বাদনের সূত্র তিনি তার সৃষ্টিতে উজ্জ্বলভাবে রেখে গেছেন।
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বাংলা একাডেমির সচিব (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. হাসান কবীর বলেন, রবীন্দ্রনাথ আমাদের ব্যক্তিজীবন থেকে জাতীয় জীবনে অনিবার্যভাবে প্রাসঙ্গিক হয়ে আছেন। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী ড. অণিমা রায়, রবীন্দ্রনাথের কবিতা আবৃত্তি করেন বাচিক শিল্পী ড. ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রজ্ঞা লাবণী।
Comments