আজকের দিনে সৈয়দ আবুল মকসুদের কন্ঠস্বরের বেশি প্রয়োজন ছিল
ওয়ালীউল্লাহর প্রতি পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষিত হয় তার মৃত্যুর অনেক পরে, বিশেষ করে সৈয়দ আবুল মকসুদের কাজে। নবাব সলিমুল্লাহ, মওলানা ভাসানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে অনেক কাজ করেছেন আবুল মকসুদ। তিনি বিদ্যায়তনিক তথা একাডেমিকের বাহিরের একটি ধারা চালু করতে চেয়েছেন। সফলও হয়েছেন। তার মতো আকণ্ঠ নিমজ্জিত গবেষক যে সমাজে যত বেশি থাকবে, সে সমাজ তত বেশি উপকৃত হবে। আজকের দিনে তার কন্ঠস্বরের বড় বেশি প্রয়োজন ছিল।
সাংবাদিক, কলাম লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে 'সৈয়দ আবুল মকসুদের ওয়ালীউল্লাহ-চর্চা' শীর্ষক এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে সৈয়দ আবুল মকসুদ স্মৃতি সংসদ।
এতে সৈয়দ আবুল মকসুদের ওয়ালীউল্লাহ-চর্চা বিষয়ে লেখা নিজের প্রবন্ধ নিয়ে কথা বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম। এরপর আলোচনা করেন গবেষক ও সাংবাদিক ড. কাজল রশীদ শাহীন ও অ্যাডভোকেট আরিফ খান।এছাড়াও সৈয়দ আবুল মকসুদকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত প্রতিক্রিয়া জানান ড. মো. সফিকুল ইসলাম ও ফারজানা ইয়াসমিন।
সমাপনী বক্তব্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানান আলোচনা সভার সভাপতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক। তিনি বলেন, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ ও সৈয়দ আবুল মকসুদের মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল। মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা সবার থাকে না। আলোচকরা প্রায় সবাই সেই দিকে আলোকপাত করেছেন।
স্বাগত ভাষণ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন। সবশেষে লেখকপুত্র সৈয়দ নাসিফ মকসুদ সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন। সঞ্চালনায় ছিলেন কবি ইমরান মাহফুজ।
Comments