কবি মশিরুজ্জামানকে বাঙলাপাঠ সঙ্গীতসঙ্গ সম্মাননা প্রদান

ছবি: সংগৃহীত

খুলনা মহানগরীর ঐতিহ্যবাহী উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে কবি মশিরুজ্জামানকে মরণোত্তর 'বাঙলাপাঠ সঙ্গীতসঙ্গ সম্মাননা ২৫' প্রদান করা হয়।

রোববার সন্ধ্যায় কবিপ্রণামি হিসেবে তার জীবনসঙ্গিনীর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়।

কবির সাহিত্যকীর্তির, বিশেষত কাব্যগ্রন্থ 'কৌম'র স্বীকৃতিস্বরূপ 'বাঙলাপাঠ সঙ্গীতসঙ্গ' কর্তৃপক্ষ তাকে একযোগে 'বাঙলাকার' ও 'মূর্তিকল্পকার' উপাধিতে ভূষিত করেন।

অনুষ্ঠানের সূচনা হয় বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী অশোক চক্রবর্তীর কণ্ঠে রাগ 'শুদ্ধ কল্যাণ'র আলাপ পরিবেশনার মাধ্যমে এবং সমাপ্তি ঘটে তরুণ বেহালাবাদক শ্যামা মিস্ত্রির রাগ 'ভীমপলশ্রী'র নিবেদন দিয়ে।

আলোচনায় কবির কাব্যভাবনার অভিনব দিকগুলো তুলে ধরেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও লেখক আবুল ফজল। কবিতা পাঠ করেন বাকশিল্পী জগজ্জীবন জয়, সুব্রত ভট্টাচার্য ও নীলা হালদার।

অনুষ্ঠানের মধ্যভাগে বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ফিরোজ আহমদ কবিপত্নীর হাতে সম্মাননাপত্র তুলে দেন এবং সুব্রত ভট্টাচার্য তার হাতে কবিপ্রণামির অর্থ তুলে দেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন শ্যামাপ্রসাদ বাছাড়।

কবি মশিরুজ্জামান ১৯৪৯ সালের ২০ জানুয়ারি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার কাঠিগ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পূর্বপুরুষরা খুলনার ফুলতলার পয়েগ্রাম কসবায় বসবাস করতেন।

সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ হয়ে তরুণ বয়সেই তিনি কবিতাকে ধারণ করেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কৃষক, শ্রমিক ও মেহনতি মানুষের সংস্পর্শে তিনি কাটিয়েছেন জীবনের একটি বড় অংশ।

শেষ পর্যন্ত তিনি স্থায়ীভাবে খুলনা শহরেই বসবাস করেছেন এবং সেখানেই ২০২৪ সালের ২৩ ডিসেম্বর পরলোকগমন করেন।

তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ শিকড় ভাবনা, কচ্ছপের খিল, কৌম, এ গাঙে মেলে না ঠাঁই, উল্টো পথের রথ এবং জলদি চলো সোনারগাঁও পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে প্রশংসিত ও সমাদৃত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

The elephant in the room no one is talking about

Reform of political parties is of urgent need

10h ago