ভাঁড়ামির মাধ্যমে শিশুদের ইসলামি শিক্ষা দিচ্ছেন তিনি

ইয়াহইয়া হেন্দ্রোয়ান। ছবি: সংগৃহীত

রঙিন পোশাক, লাল নাক ও মাথায় পাগড়ি পরে ইন্দোনেশিয়ার বিভিন্ন বিদ্যালয়ে ভাঁড়ামির অভিনয় করেন ইয়াহইয়া হেন্দ্রোয়ান। শিশু-কিশোরদের বিনোদন দেওয়ার ফাঁকে ইসলামের বিধিবিধান ও মূল্যবোধ শিক্ষা দেন তিনি।

অর্থ উপার্জনের জন্য বিভিন্ন সময় জন্মদিনের পার্টিতে কাজ করতেন ইয়াহইয়া। সেখানে অভিনয় করে মানুষকে মুগ্ধ করতেন। কিন্তু ২০১০ সালে তাকে আধুনিককালের আবু নুয়াস হতে অনুপ্রাণিত করেন তার ধর্মীয় শিক্ষক।

আরবি ভাষার কিংবদন্তি কবি আবু নুয়াস বিখ্যাত ছিলেন বুদ্ধিমত্তা, প্রজ্ঞা, রসিকতা ও শব্দচয়নের জন্য। সমসাময়িক আরবি কাব্যের সব ধারার ওপর দক্ষ ছিলেন তিনি। লোককথায়ও আবু নুয়াসের উপস্থিতি রয়েছে। আরব্য রজনীতে বেশ কয়েকবার তার নাম পাওয়া যায়।

কবি আবু নুয়াসের মতো করেই রসিকতা ও প্রজ্ঞার সংমিশ্রণে ধর্মীয় শিক্ষায়তনে ভাঁড়ামির অভিয়ন করতে উৎসাহিত হন ইয়াহইয়া। বর্তমানে তাকে ইয়াহইয়া বাদুত বা ইয়াহইয়া ক্লাউন (ভাঁড়) নামে ডাকে সবাই। এমন একটি স্বপ্নই তিনি বহু বছর ধরে লালন করছিলেন।

পাশাপাশি আরও কিছু সমমনা ক্লাউন নিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন দ্য শরিয়া ক্লাউন ফাউন্ডেশন। নির্মল বিনোদনের সঙ্গে ধর্মীয় শিক্ষা দিতেই তারা কাজ করছেন।

শিশুদের আনন্দ দিতে বিভিন্ন মজার গানও পরিবেশন করেন তারা। ইয়াহইয়া বলেন, 'হাদিসে আছে, কেউ তার ভাইয়ের সামনে মুচকি হাসি দিয়ে কথা বললে তা সদকাস্বরূপ। কাজেই অবশ্যই মুচকি হাসিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং পরস্পরকে শুভেচ্ছা জানাতে হবে। যখন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হবে, হাসি দিয়ে করমর্দন করবেন।'

মজা ও আনন্দ নিয়ে পড়ালে শিশুরা সহজেই তা আয়ত্ত করতে পারবে বলে মনে করেন তিনি।

প্রাচীনকাল থেকেই সামাজিক, ধর্মীয় ও মনস্তাত্ত্বিক ভূমিকা রেখে আসছেন ক্লাউনরা। খ্রীষ্টপূর্ব ২৪০০ অব্দে মিসরের পঞ্চম রাজবংশের সময় সবচেয়ে প্রাচীন ভাঁড়ামির সন্ধান পাওয়া যায়।

আধুনিককালে সেটা সার্কাস ক্লাউন হয়ে গেছে। ১৭৬৮ সালে লন্ডন রাইডিং স্কুলে সার্কাস শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন ফিলিপ অ্যাস্টলে নামে এক ব্যক্তি।

Comments

The Daily Star  | English

Students protest condemning brutal murder of trader near Mitford

Lal Chand, alias Sohag, was beaten and murdered in front of Mitford Hospital allegedly by rivals over dominance of scrap trade

2h ago