২ বাসের অনিয়ন্ত্রিত চলাচল, ফুটপাতে বাবার হাত থেকে ছিটকে শিশু নিহত

মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

রাজধানীর খিলগাঁওয়ে আসমানী ও আলিফ পরিবহনের ২ বাসের ধাক্কায় ৬ বছরের এক শিশু নিহত হয়েছে।

আজ রোববার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে খিলগাঁও ত্রিমোহনী ইমামবাগ এলাকায় বাবার হাত ধরে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে আল রাহিদ নামের শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যা ৭টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাহিদের বাবা মো. আকতার হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের বাড়ি খুলনা সদর উপজেলার বসুপাড়া এলাকায়। বর্তমানে খিলগাঁও নন্দীপাড়ায় ২ নম্বর স্কুল রোড এলাকায় একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। রাহিদ স্থানীয় একটি স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ২ ভাই এক বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট।

আকতার হোসেন বলেন, 'বিকেলে রাহিদ মাছ ধরা দেখার বায়না ধরে। এ কারণে তাকে নিয়ে ফুটপাত দিয়ে হেঁটে স্থানীয় একটি বিলে যাচ্ছিলাম। ত্রিমোহনী ইমামবাগ এলাকায় আসলে সড়কে দ্রুতগতির ২ বাসের একটি আমার ছেলেকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। এসময় আমার হাত থেকে রাহিদ ছিটকে পড়ে এবং অপর বাসটি তাকে চাপা দিয়ে টেনে-হিঁচড়ে কয়েকগজ দূরে নিয়ে যায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আশপাশের ৩টি হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।'

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া ডেইলি স্টারকে বলেন, 'শিশুটিকে স্বজনরা রক্তাক্ত অবস্থায় ঢামেকে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে তার মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।'

এ বিষয়ে খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুকুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, '২ বাসের অনিয়ন্ত্রিত চলাচলের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ডেমরাগামী আসমানী পরিবহনের বাসটি শিশুটিকে প্রথমে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে রামপুরাগামী আলিফ পরিবহনের বাসটি তাকে চাপা দেয়।'

ঘটনার পর ২ বাসসহ আসমানী পরিবহনের চালক মো. হোসেন ও আলিফ পরিবহনের চালক আবুল কালামকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

Comments

The Daily Star  | English

EU lists Bangladesh among 7 'safe' countries, tightening asylum rules

The move, criticised by rights groups, is set to allow EU governments to process asylum applications filed from citizens of those countries more quickly

11h ago