রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন

ফেব্রুয়ারিতে ৪৩৯ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৮৭

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি বগুড়ায় বাসচাপায় অটোরিকশার ৫ আরোহী নিহত হন। ছবি: স্টার

ফেব্রুয়ারিতে সারা দেশে ৪৩৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৭ জন নিহত ও ৭১২ জন আহত হয়েছেন।

আজ বুধবার রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ তথ্য জানিয়েছে।

তাদের তথ্য অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৫৪ জন নারী ও ৬৮ শিশু রয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ১৮৩টি মোরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৬ জন নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ। আর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার হার ৪১ দশমিক ৬৮ শতাংশ। দুর্ঘটনায় ১০৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ২২ দশমিক ১৭ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৭২ জন, অর্থাৎ ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এই সময়ে ৯টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছে। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৪ জন নিহত ও ৫ জন আহত ও ৩০ হাজার লিটার জ্বালানি তেল নষ্ট হয়েছে।

৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও ইলেক্টনিক গণমাধ্যমের তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন।

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যান বিষয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোটরসাইকেলচালক ও আরোহী ১৯৬ জন (৪০ দশমিক ২৪ শতাংশ), বাসযাত্রী ২১ জন (৪ দশমিক ৩১ শতাংশ), ট্রাক-কাভার্ডভ্যান-পিকআপ-ট্রলি আরোহী ২২ জন (৪ দশমিক ৫১ শতাংশ), মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার-অ্যাম্বুলেন্স যাত্রী ১৬ জন (৩ দশমিক ২৮ শতাংশ), থ্রি-হুইলার যাত্রী (ইজিবাইক-সিএনজিচালিত অটোরিকশা-অটোরিকশা-অটোভ্যান-ম্যাক্সি-টেম্পু) ১০১ জন (২০ দশমিক ৭৩ শতাংশ), স্থানীয়ভাবে তৈরি যানবাহনের যাত্রী (নসিমন-ভটভটি-মাহিন্দ্র-টমটম-পাওয়ারটিলার-ইট ভাঙ্গার মেশিন গাড়ি) ১৮ জন (৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ) এবং বাইসাইকেল আরোহী ৫ জন (১ দশমিক ০২ শতাংশ) নিহত হয়েছেন।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ বলছে, দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১৬৮টি (৩৮ দশমিক ২৬ শতাংশ) জাতীয় মহাসড়কে, ১৭৭টি (৪০ দশমিক ৩১ শতাংশ) আঞ্চলিক সড়কে, ৬১টি (১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ) গ্রামীণ সড়কে, ২৯টি (৬ দশমিক ৬০ শতাংশ) শহরের সড়কে এবং অন্যান্য স্থানে ৪টি (০ দশমিক ৯১ শতাংশ) সংঘটিত হয়েছে। 

দুর্ঘটনার বিভাগওয়ারী পরিসংখ্যান বলছে, ঢাকা বিভাগে দুর্ঘটনা ২৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ ও প্রাণহানি ২৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ; রাজশাহী বিভাগে দুর্ঘটনা ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৯ দশমিক ৭১ শতাংশ; চট্টগ্রাম বিভাগে দুর্ঘটনা ১৯ দশমিক ৮১ শতাংশ ও প্রাণহানি ১৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ; খুলনা বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৯৩ শতাংশ ও প্রাণহানি ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ; বরিশাল বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ ও প্রাণহানি ৫ দশমিক ৩৩ শতাংশ; সিলেট বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ ও প্রাণহানি ৬ দশমিক ৭৭শতাংশ; রংপুর বিভাগে দুর্ঘটনা ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ ও প্রাণহানি ১০ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং ময়মনসিংহ বিভাগে দুর্ঘটনা ৫ শতাংশ ও প্রাণহানি ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ।

ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। সেখানে ১১৩টি দুর্ঘটনায় ১২১ জন নিহত হয়েছেন। সবচেয়ে কম ময়মনসিংহ বিভাগে। সেখানে ২২টি দুর্ঘটনায় ২২ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে ঢাকায় সবচেয়ে বেশি ৩৩টি দুর্ঘটনায় ৩৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সবচেয়ে কম মেহেরপুর জেলায়। সেখানে ৩টি দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

রাজধানী ঢাকায় ২৩টি দুর্ঘটনায় ১৮ জন নিহত ও ১১ জন আহত হয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

13h ago