কুনিপাড়া বস্তির আগুনে পুড়েছে ‘৩০০ ঘর ও ২৫ দোকান’

আগুন লাগার কারণও এখনো জানা যায়নি।
তেজগাঁওয়ের কুনি পাড়া বস্তিতে আগুন। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ের কুনিপাড়া শিল্পাঞ্চল বস্তির আগুনে সেখানকার প্রায় ৩০০টি ঘর ও ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে।

আজ সোমবার রাতে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে দ্য ডেইলি স্টারের প্রতিবেদক এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, 'প্রাথমিক পাওয়া তথ্যে জানা গেছে, সেখানকার প্রায় ৩০০টি ঘর ও ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত জানা যাবে।'

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'যেকোনো দাহ্য পদার্থ আমাদের আশেপাশে খুবই বেশি। এখানকার (কুনিপাড়া শিল্পাঞ্চল বস্তির) ঘরগুলো কাঠ ও টিনের তৈরি। সুতরাং এই এলাকায় উচ্চ দাহ্য পদার্থ বেশি। সেই কারণেই সহজেই আগুন বিস্তার করে। তা ছাড়া, এখানকার আশেপাশে পানি না পাওয়ায় ক্ষয়ক্ষতি বেশি হয়। সময়মতো পানি পাওয়া গেলে হয়তো ক্ষতি আরও কম হতো।'

সবাইকে বাসার আশেপাশে পানির সোর্স বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'পানির সোর্স অবশ্যই থাকতে হবে। আপনারা খুঁজে বের করুন। যাতে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আসলে তা সঙ্গে সঙ্গে দেখাতে পারেন।'

অগ্নিকাণ্ড রোধে তার পরামর্শ, গ্যাসের চুলা বা বৈদ্যুতিক তার প্রতি ৬ মাস পরপর চেকআপ করানো উচিত। বছরে অন্তত ২ বার চেক করে দেখতে হবে যে, সব ঠিক আছে কি না। একইসঙ্গে আগুন লাগলে প্রাথমিকভাবে কী করতে হবে, এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রশিক্ষণ নেওয়া উচিত। যাতে করে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পৌঁছানোর আগে অন্তত প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রাই আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেন।

আজ  সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটের দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় রাত ১০টা ১০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার কারণও এখনো জানা যায়নি।

Comments