অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ড: ৭ মরদেহ হস্তান্তর

অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ড: নিহত সবাই একই পরিবারের, মারা গেলেন চালকও
হাসপাতাল মর্গ থেকে মরদেহ নেওয়ার সময় কান্নায় ভেঙে পরেন স্বজনরা। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় অ্যাম্বুলেন্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ৭ জনের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে পুলিশ।

আজ শনিবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে মরদেহগুলো স্বজনদের হাতে তুলে দেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ আল ফারুক রানা।

এই দুর্ঘটনায় নিহত ৭ জন একই পরিবারের সদস্য। তারা হলেন-বোয়ালমারীর গুনবাহা ইউনিয়নের ফেলানগর গ্রামের আজিজারের স্ত্রী তসলিমা বেগম (৫০), তার মেয়ে ও বোয়ালমারীর শেখর ইউনিয়নে মাইট কুমঢ়া গ্রামের বাসিন্দা আলমগীর খানের স্ত্রী কমলা (৩০), কমলার ৩ সন্তান আরিফ (১২), হাসিব (১০), ও হাফসা (১), কমলার ছোট বোন বিউটি (২৬) ও বিউটির ছেলে মেহেদী(১০)।

এ ছাড়া, অ্যাম্বুলেন্সটির চালক মৃদুল মালো (৪১) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

নিহত কমলার দেবর জাকির খান বুঝে নেন কমলা ও তার ৩ সন্তান আরিফ, হাসিব ও হাফসার মরদেহ।

নিহত বিউটি ও ছেলে মেহেদীর মরদেহ বুঝে নেন তাদের আত্মীয় মো. আবুল হাসান।

নিহত তাসলিমার মরদেহ বুঝে নেন তার চাচা শ্বশুর আব্দুল হামিদ শেখ।

জাকির খান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, নিহত ৭ জনের মরদেহ বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাইটকুমড়া গ্রামে নেওয়া হবে। পরবর্তীতে পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

মরদেহ নিতে উপস্থিত হয়েছিলেন দুর্ঘটনায় নিহত ৩ শিশু আরিফ-হাসিব-হাফসার ফুপু শামীমা ইয়াসমিন। মর্গে মরদেহগুলো দেখে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলেন তিনি। তার চোখে-মুখে পানি দিয়ে স্বাভাবিক করা হয়।

মরদেহ হস্তান্তরের সময়টাতে নিজের মোবাইলে থাকা আরিফের আগের ছবি দেখে কান্না করছিলেন শামীমা।

 

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

2h ago