‘বেইলি রোডের ওই ভবনটিতে ইমারজেন্সি এক্সিট ছিল না’
অন্যান্য দিনের মতোই গতকাল বৃহস্পতিবার রাতেও 'মেজবানি খানা'য় অতিথিদের খাবার পরিবেশন করছিলেন ইকবাল। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ১০২ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।
গতকাল রাতের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার এক সময় নিজেকে ভিড়ের মধ্যে আবিষ্কার করেন ইকবাল।
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, 'হঠাৎ চারদিকে ধোঁয়া দেখতে পাই। নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হচ্ছিল। ছাদে উঠতেও বেশ হিমশিম খেতে হয়। পরে সেখান থেকে দমকলকর্মীরা শেষ পর্যন্ত আমাকে উদ্ধার করে।'
'ইমারজেন্সি এক্সিট (জরুরি বহির্গমন পথ) না থাকায় ভবন থেকে আমাদের সরিয়ে নেওয়ার কোনো ব্যবস্থা ছিল না। নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ায় সিঁড়ি দিয়ে বের হওয়ারও কোনো সুযোগ ছিল না', বলেন ইকবাল।
একই কথা জানান ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অপর আহত ব্যক্তি মুজাহিদুল ইসলাম জুবায়ের। বলেন, 'আমি ভবনের দ্বিতীয় তলায় অবস্থিত খানাজ রেস্টুরেন্টে শেফ হিসেবে কাজ করি। আমি যখন রান্নায় ব্যস্ত ছিলাম, তখন আমাদের ম্যানেজার সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে নিচে আগুন লেগেছে এবং আমাদের উপরে যেতে বললেন। ছাদে পৌঁছে দেখি অনেকে লাফিয়ে পড়ছে। আমিও তাদের পিছু নিয়েছি। এরপর আমার কী হয়েছে জানি না।'
বেইলি রোডের গ্রিন কজি কটেজের এই অগ্নিকাণ্ডে এখন পর্যন্ত ৪৬ জন নিহত হয়েছেন। আর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১২ জন, যাদের মধ্যে দুইজন ঢামেক হাসপাতালে ও বাকি ১০ জন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। ওই ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
Comments