এক বিদ্যুৎস্পৃষ্টে প্রাণ গেল ৬ সদস্যের পুরো পরিবারের

বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সবশেষ শিশু সোনিয়া সুলতানাও মারা গেল। ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যাওয়া শিশু সোনিয়া সুলতানাও (৮) মারা গেছে। তার আগে একই ঘটনায় তার মা-বাবা ও তিন ভাই-বোন মারা যায়।

আজ বুধবার ভোর ৪টার দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়। সে স্থানীয় গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো।

গতকাল সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনেরও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু হয়। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সেই বেঁচে ছিল।

ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা পূর্ব গোয়ালবাড়ীর বাসিন্দা এস এম জাকির হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদ্যুৎস্পৃষ্ট শিশু সোনিয়া সুলতানাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। আমরা তাকে বাঁচাতে পারিনি।'

সোনিয়ার মামা আব্দুল আজিজ ডেইলি স্টারকে জানান, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়।

'তার মরদেহ নিয়ে বাড়ি ফিরছি,' যোগ করেন তিনি।

এর আগে গতকাল মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়।

মৃতরা হলেন—ফয়েজুর রহমান (৫২), তার স্ত্রী সিরি বেগম (৪৫), তাদের মেয়ে সামিয়া বেগম (১৬) ও সাবিনা (১৩) এবং ছেলে সায়েম (১০)।

তাদের স্বজন ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার ভোরে ফজর নামাজের পর ঝড়ের কবলে একটি বৈদ্যুতিক তার ছিঁড়ে টিনের বাড়িতে পড়লে পুরো বাড়ি বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়।

পুলিশ জানিয়েছে, আতঙ্কিত পরিবারের সদস্যরা ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।

জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মইন উদ্দিন ডেইলি স্টারকে জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিভিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী মাসুম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মৃত ফয়জুর দিনমজুর ও বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন।'

মৌলভীবাজারের পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক এবিএম মিজানুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিদ্যুতের লাইন বসানোর পর তারের নিচে ঘর করেছিলেন ফয়জুর। আমরা এখন বিদ্যুতের তারটি সরিয়ে নেব।'

Comments

The Daily Star  | English

No price too high for mass deportations

US President-elect Donald Trump has doubled down on his campaign promise of the mass deportation of illegal immigrants, saying the cost of doing so will not be a deterrent.

5h ago