ঈদের ১৫ দিনে ৩৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩৬৭: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ। 
ঝালকাঠি জেলার গাবখান সেতু এলাকায় ট্রাক, অটোরিকশা ও প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: স্টার

এবারের ঈদুল ফিতরের আগে ও পরে ৪ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে ১৫ দিনে দেশে ৩৫৮ সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি।

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের এক প্রতিবেদনে আজ বুধবার এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতীয় দৈনিক, অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে। 

ঈদের ১৫ দিনে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৬৩ জন নারী ও ৭৪ জন শিশু বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ঈদের তিন দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালে (পঙ্গু হাসপাতালে) ভর্তি হয়েছেন ৪৫৪ জন। তাদের অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার।

এই ১৫ দিনে ১৮৩ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১৫৬ জন, যা মোট নিহতের ৪২ দশমিক ৫০ শতাংশ। 

দুর্ঘটনায় ৬৮ জন পথচারী নিহত হয়েছেন, যা মোট নিহতের ১৮ দশমিক ৫২ শতাংশ। যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৪১ জন, অর্থাৎ ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ।

এই সময়ে তিনটি নৌ-দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৮ আহত হয়েছেন। রেলপথে ১৪টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছেন। 

দুর্ঘটনায় যানবাহনভিত্তিক নিহতের পরিসংখ্যানে দেখা যায়—মোটরসাইকেল চালক ও আরোহী ১৫৬ জন, বাস যাত্রী ১৮ জন, ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান-ট্রাক্টর আরোহী ২৬ জন, প্রাইভেটকার-মাইক্রোবাস-পাজেরো জিপ আরোহী ২৮ জন, থ্রি-হুইলার যাত্রী ৫৮ জন, স্থানীয়ভাবে তৈরি নসিমন-মাহিন্দ্র যাত্রী ৯ জন এবং বাইসাইকেল-প্যাডেল রিকশা আরোহী ৪ জন নিহত হয়েছেন। 

দুর্ঘটনাগুলোর মধ্যে ১২৯টি জাতীয় মহাসড়কে, ১৪৩টি আঞ্চলিক সড়কে, ৪৮টি গ্রামীণ সড়কে এবং ৩৮টি শহরের সড়কে সংঘটিত হয়েছে।

সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি রাতে ২৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া, সকালে ২২ দশমিক ৯০ শতাংশ, দুপুরে ১৭ দশমিক ৮৭ শতাংশ, বিকেলে ১৯ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ এবং ভোরে ৩ দশমিক ৬৩ শতাংশ দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এবার ঈদযাত্রায় গত বছরের তুলনায় সড়ক দুর্ঘটনা এবং প্রাণহানি উভয়ই বেড়েছে বলে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন জানিয়েছে। 

গত বছরে ঈদুল ফিতরে ২৪০ দুর্ঘটনায় ২৮৫ জনের প্রাণহানি হয়। এ হিসাবে এ বছর দুর্ঘটনা বেড়েছে ৩৯ দশমিক ২০ শতাংশ এবং প্রাণহানি বেড়েছে ২০ দশমিক ১৯ শতাংশ।

Comments