চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৩, খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু

চট্টগ্রামের লোহাগড়া উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। অন্যদিকে, খুলনায় ট্রেনের ধাক্কায় এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে লোহাগড়া উপজেলার শিকদার দীঘি এলাকায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত তিনজন হলেন—সাতকানিয়া উপজেলার বাহাদিরপাড়ার বাসিন্দা সিদ্দিক আহমেদের ছেলে মো. হুমায়ুন (৩৭) ও মো. মামুন (৩২) এবং তাদের মামা একই উপজেলার আবদুল সাত্তারের ছেলে মনির হোসেন (৪৫)।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব বলেন, 'তারা তিনজন মোটরসাইকেলে চট্টগ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশা হঠাৎ আঞ্চলিক সড়ক থেকে মহাসড়কে উঠে পড়ে এবং তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়।'
'এতে মোটরসাইকেলের তিন আরোহী সড়কে ছিটকে পড়েন। ঠিক তখনই কক্সবাজারগামী একটি মহিষবোঝাই ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়,' বলেন তিনি।
লোহাগড়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আজাদুল ইসলাম বলেন, 'তথ্য পাওয়ার পরপরই আমরা ঘটনাস্থলে ছুটে যাই, মরদেহ উদ্ধার করি এবং মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করতে জন্য কাজ করি।'
মাহবুব আরও জানান, মরদেহগুলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
'দুর্ঘটনার পরপরই ট্রাক ও সিএনজি-অটোরিকশা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গেছে,' যোগ করেন তিনি।
শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে খুলনা নগরীর মানিকতলা সেনপাড়া লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে নাঈমুল ইসলাম (২৩) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
নাঈমুল দৌলতপুর থানার মহেশ্বরপাশা এলাকার বাসিন্দা তোতা ইসলামের ছেলে। তিনি পেশায় দিনমজুর ছিলেন।
দৌলতপুর রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আজাদ রহমান বলেন, 'বিকেলের বৃষ্টির সময় নাঈমুল সেনপাড়া ক্রসিং পার হয়ে প্রধান সড়কের দিকে যাচ্ছিলেন। সে সময় খুলনা থেকে রাজশাহীগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় তিনি পড়ে যান এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।'
বর্তমানে তার মরদেহ খুলনা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা আছে।
খুলনা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফেরদৌস আলম খান বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
Comments