দিনাজপুর

ফুলে ভরপুর লিচু বাগান, রেকর্ড ফলনের আশা

লিচু বাগান, দিনাজপুর,
দিনাজপুরে লিচুর বাগানগুলোতে ফুলে ভরপুর। ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। ছবি: স্টার

লিচুর দেশ' হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর। জেলাজুড়ে হাজার হাজার লিচু গাছ সেজেছে সোনালি ফুলে। অনুকূল আবহাওয়া ও উন্নত চাষাবাদের কারণে এ বছর বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তারা।

দিনাজপুর ছাড়াও ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড় ও রংপুর জেলায়ও লিচুর চাষ হয়, যা এ অঞ্চলের কৃষি অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে—সাধারণত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে লিচুর ফুল আসে। তবে ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রায় ফলন নিয়ে উদ্বিগ্ন চাষিরা।

বসন্তে ফুল ফোটার সঙ্গে সঙ্গে দিনাজপুরের ১৩ উপজেলার পাঁচ হাজার ৪১৮ বাগান লিচু ফুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ মৌ করছে। এদের অধিকাংশই দিনাজপুর সদর, চিরিরবন্দর, খানসামা ও বীরগঞ্জ উপজেলায়।

দিনাজপুরের লিচু বাগানে সোনালি ফুলে ভরপুর। ছবি: স্টার

চায়না-১, ২ ও ৩, বেদানা, বোম্বে, মাদ্রাজি ও কাথালির মতো জাতগুলো এসব বাগানে আধিপত্য করছে। কৃষকরা ফসল রক্ষায় সেচ, কীটনাশক ও সারে বিনিয়োগ করছেন।

দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. নুরুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে। আগামীতে প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে প্রচুর ফলনের আশা করছি।'

বাজারে দিনাজপুরের লিচুর চাহিদা বেশি হওয়ায় রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা বাগানে গিয়ে চাষিদের আগাম টাকা দিচ্ছেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, গত বছর দিনাজপুরে পাঁচ হাজার ৭৮৭ হেক্টর জমিতে ৪২ হাজার টন লিচু পাওয়া গেছে। বাজার দাম ছিল ৮০০ কোটি টাকা।

লিচু দিনাজপুরের অন্যতম মৌসুমি অর্থকরী ফসল। যদিও এর ব্যতিক্রমী স্বাদ রপ্তানির সুযোগ তৈরি করেছে। তবে ফলটির পচনশীল প্রকৃতি ও যথাযথ প্রক্রিয়াকরণ সুবিধার অভাব রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করছে।

হিমাগার ও প্রক্রিয়াকরণ কারখানা গড়তে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কৃষকরা।

চিরিরবন্দর উপজেলার লিচু চাষি বাবলু মিয়া অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, 'প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে আমরা লিচুর জুস রপ্তানি করতে পারছি।'

গত বছর প্রতি পিস লিচুর দাম ছিল তিন থেকে ১৮ টাকা। কৃষকরা দামের ওঠানামা সম্পর্কে সতর্ক আছেন। কারণ বাজারের পরিস্থিতি ও পরিবহন খরচ তাদের মুনাফাকে প্রভাবিত করে।

খানসামা উপজেলার লিচু চাষি আব্দুর রাজ্জাক ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কীটপতঙ্গের প্রাদুর্ভাব কিংবা একটা ঝড়ের কারণে কয়েক মাসের প্রচেষ্টা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষকদের আবহাওয়া সম্পর্কে জানতে ও সম্ভাব্য ক্ষতি কমাতে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
rohingya-migration

Persecuted by Arakan Army, Rohingyas fleeing to Bangladesh

Amid escalating violence in Myanmar’s Rakhine State, Rohingyas are trespassing into Bangladesh every day, crossing the border allegedly to escape the brutality of Myanmar’s rebel group, the Arakan Army (AA).

1h ago