চলন্ত বাসে যাত্রীদের জিম্মি করে ডাকাতি ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
টাঙ্গাইলে ডাকাতির কবলে পড়া বাসটি। ছবি: সংগৃহীত

টাঙ্গাইলে চলন্ত বাসে ডাকাতি ও এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।

বাস যাত্রীদের বরাতে মধুপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল মঙ্গলবার রাতে যাত্রীবাহী ঈগল পরিবহনের বাসটি ২৪ থেকে ২৫ জন যাত্রী নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছিল।

মধ্যরাতে সিরাজগঞ্জের হাটিকুমরুল মোড় থেকে প্রায় ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল কাঁধে ব্যাগ নিয়ে যাত্রীবেশে বাসটিতে ওঠেন। বাসটি টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার নাটিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে তারা অস্ত্র বের করে যাত্রী, বাস চালক ও হেল্পারের চোখ, হাত ও মুখ বেঁধে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নেয়।'

ওসি জানান, চলন্ত অবস্থায় তারা যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কারসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে এবং বাসের এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও মারধর করে। পরে ভোর সাড়ে ৩টার দিকে বাসটিকে ঘুরিয়ে টাঙ্গাইলে মধুপুর উপজেলার রোকতিপাড়ায় টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ছেড়ে দেয়।

যাত্রী ও স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে মধুপুর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

ওসি জানান, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ওই নারী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী বাদী হয়ে মধুপুর থানায় মামলা করেছেন।

খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ ডাকাত দলকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

বাসের চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, 'প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের যেতে দেওয়া হয়েছে।'

ডাকাতদল ও বাসের কর্মীদের মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, 'কোনো প্রমাণ ছাড়া কাউকে আটক করা যাবে না, তবে সব সম্ভাবনা মাথায় রেখে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। প্রয়োজনে বাসের কর্মীদের আটক করা হবে।'  

Comments

The Daily Star  | English

The war that we need to know so much more about

Our Liberation War is something we are proud to talk about, read about, and reminisce about but have not done much research on.

11h ago