নাম-পরিচয় পাল্টে ৭ বছর পালিয়ে ছিলেন ১৪ মামলার আসামি

প্রতারক
মানিকগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের হাতে গ্রেপ্তার মাসুদ রানা ও তার স্ত্রী। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম ও ঠিকানা পাল্টানোর পরও গ্রেপ্তার এড়াতে পারলেন না ১৪ মামলার পলাতক আসামি মাসুদ রানা ওরফে ইন্তাজ (৪৩)। গতকাল বুধবার রাতে ময়মনসিংহ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

তার স্ত্রী ৭ মামলার আসামি লিলি বেগমকেও (৩৫) একইসঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গ্রেপ্তার এই দম্পতির বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামে।

মীর্জা আবদুল্লাহেল বাকী বলেন, 'প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মাসুদের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা আছে। এর মধ্যে ৭টি মামলায় বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। অপর ৭টি মামলায়ও তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। যে ৭ মামলায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে, তার স্ত্রীও সেসব মামলার আসামি। আসামিরা অভিযোগকারীদের কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।'

তিনি আরও বলেন, '২০১১ সালে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বালিরটেক বাজারে গ্রামীণ শক্তি নামের ঋণদান সমবায় সমিতির কার্যালয় চালু করেন মাসুদ ও তার স্ত্রী। এরপর কয়েক মাস গ্রাহকদের ঋণ দেন তারা। এ সময় তারা অধিক মুনাফা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করতে থাকেন।'

'পরে ২০১৪ সালে কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে ওই দম্পতি বালিরটেক থেকে পালিয়ে ময়মনসিংহ চলে যান। অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় মাসুদের বিরুদ্ধে আমানতকারীরা মানিকগঞ্জ সদর থানা এবং আদালতে মোট ১৪টি মামলা করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তারা ময়মনসিংহ সদরে গিয়ে নতুন পরিচয়পত্র তৈরি করে সেখানেও ঋণদান সমবায় সমিতির কার্যালয় খোলেন,' বলেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সিআইডির পরিদর্শক মো. আনারুল ইসলাম বলেন, 'তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার রাতে ময়মনসিংহ জেলার একটি বাসা থেকে মাসুদ ও তার স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বিকেলে আসামিদের আদালতে পাঠানো হলে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।'

Comments

The Daily Star  | English
government bank borrowing target

Govt to give special benefits to employees, pensioners from July 1

For self-governing and state-owned institutions, the benefit must be funded from their budgets

19m ago