প্রাইভেটকারে গার্ডার: ক্রেনচালকসহ ১০ আসামির রিমান্ড

রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে ৫ জন নিহত ও ২ জন আহতের ঘটনায় ক্রেনচালক মো. আল আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়সহ ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর উত্তরায় বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার পড়ে ৫ জন নিহত ও ২ জন আহতের ঘটনায় ক্রেনচালক মো. আল আমিন হোসেন ওরফে হৃদয়সহ ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

হৃদয় (২৫) ও তার সহকারী রাকিব হোসেন (২৩) এবং সেফটি ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার আলী শাহকে (৩৯) আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হলে আদালত ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
 
বাকি ৭ আসামির ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে আদালত তাদের প্রত্যেককে দুদিনের রিমান্ড দিয়েছেন।
 
তারা হলেন—চায়না গেজউবা গ্রুপ কোম্পানির প্রকিউরমেন্ট অফিসার মঞ্জুরুল ইসলাম (২৯), বিল্ড ট্রেড ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানির অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার রুহুল আমিন মৃধা (৩৩), মার্কেটিং ম্যানেজার তোফাজ্জল হোসেন ওরফে তুষার (৪২), ফোর ব্রাদার্স গার্ড সার্ভিসের কর্মচারি মো. রুবেল (২৮) এবং আফরোজ মিয়া (৫০), আইএফএস কন বাংলাদেশ লিমিটেডের মালিক ইফতেখার হোসেন (৩৯) ও হেড অব অপারেশন আজহারুল ইসলাম মিঠু (৪৫)।
 
আজ শুক্রবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উত্তরা (পশ্চিম) থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ ইয়াসিন গাজী আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহাবুব আহমেদ এ আদেশ দেন।

রিমান্ডে আবেদনপত্রে বলা হয়, 'দুর্ঘটনার সময় রাকিব হোসেন ক্রেনটি পরিচালনা করছিলেন, অপারেটর আল আমিন পাশে দাঁড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছিলেন।'
 
'ক্রেনটির ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিল না এবং যে লোকটি এটি পরিচালনা করছিল তার কাজ করার কোনো প্রশিক্ষণও ছিল না। তাদের চরম অবহেলার কারণে এই বিপর্যয় ঘটেছে। অদক্ষ ক্রেন অপারেটর নিয়োগ করায় ঠিকাদার তাদের দায় এড়াতে পারে না। এ কারণেই ঘটনা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সূত্র খুঁজে বের করার জন্য তাদের রিমান্ডে নেওয়া দরকার,' বলা হয় আবেদনপত্রে।

এই ১০ জনকে ঢাকা, গাজীপুর, বাগেরহাট ও সিরাজগঞ্জ থেকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট বিকেল সোয়া ৪টার দিকে উত্তরায় প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে বিআরটি প্রকল্পের ক্রেন থেকে গার্ডার ছিটকে পড়ে প্রাইভেটকারের ওপর পড়লে গাড়িতে থাকা ৫ যাত্রী নিহত হন। নিহতরা হলেন— আইয়ুব আলী হোসেন রুবেল (৫৫), ফাহিমা আক্তার (৩৮), ঝরণা আক্তার (২৭), জান্নাতুল (৬) ও জাকারিয়া (৪)।

আহত নবদম্পতি হৃদয় (২৬) ও রিয়ামনি (২১) উত্তরার ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন। ঘটনার রাতেই নিহত ফাহিমা ও ঝরণা আক্তারের ভাই মো. আফরান মণ্ডল বাবু বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা দায়ের করেন।

Comments