বুয়েটে ভর্তি: পদার্থ-রসায়নে ৯৩ শতাংশ নম্বরের শর্তের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টের রুল

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ভর্তির জন্য এইচএসসি বা সমমানে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ওপর যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে, তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট।

আরোপিত এই শর্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, বুয়েট কর্তৃপক্ষ ও সরকারকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে তা ব্যাখ্যা করতে আজ মঙ্গলবার হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছেন।

বুয়েটে ভর্তির জন্য এইচএসসি বা সমমানে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের প্রতিটি বিষয়ে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেতে প্রার্থীদের উপর আরোপিত শর্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ একটি রিট আবেদন করেন। সেই রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি খিজির আহমেদ চৌধুরী ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

গত ১৬ এপ্রিল দৈনিক প্রথম আলোয় বুয়েটের বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হওয়ার পর ১২ জুন জনস্বার্থে ইউনুস আলী আকন্দ এই রিট আবেদন করেন।

আবেদনের বরাত দিয়ে ইউনুস আলী আকন্দ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিজ্ঞাপন অনুযায়ী, বুয়েটে ভর্তির জন্য আবেদন করতে হলে একজন শিক্ষার্থীকে এইচএসসি বা সমমানে পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে মোট ৪০০ এর মধ্যে ৩৭২ নম্বর পেতে হবে। এর মানে হলো, একজন শিক্ষার্থীকে এই ২টি বিষয়ে ৯৩ শতাংশ নম্বর পেতে হবে হবে, যা গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ (জিপিএ) এর সঙ্গে অযৌক্তিক ও সাংঘর্ষিক। তাই, অযৌক্তিক বিজ্ঞাপনটি অবৈধ এবং আইনি কর্তৃত্ব নেই তা ঘোষণা করা উচিত।    

আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ রিট আবেদনে বলেন, বুয়েট সাধারণত এই শর্তে ভর্তির বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে যে, শিক্ষার্থীদের গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজিতে জিপিএ-৫ পেতে হবে। কিন্তু পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে ৯৩ শতাংশ নম্বর পাওয়ার মতো শর্ত কখনোই অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।

শিক্ষার্থীদের ৯৩ শতাংশ নম্বর পাওয়ার শর্ত সংবিধানের ২৮(৩) ও ৩১ নং অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

আজ আবেদনের শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল প্রতীকর চাকমা। 

 

Comments

The Daily Star  | English

An Eid evening at Pongu Hospital: overflowing emergency, lingering waits

NITOR is a 1,000-bed tertiary medical facility that receives referral patients from all over the country

21m ago