‘ঘুষ’ নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল, পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম বরখাস্ত

‘ঘুষ’ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুরিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মো. সাজ্জাদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
পাবনা
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

'ঘুষ' নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুরিয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম মো. সাজ্জাদুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জানা গেছে, 'ঘুষ' নেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় গতকাল এক অফিস আদেশে তাকে বরখাস্ত করা হয়। এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।

এর আগে, গত ১৪ সেপ্টেম্বর খেলাপি গ্রাহক আমিনুল ইসলাম রানা নতুন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে ডিজিএম সাজ্জাদুর রহমানকে টাকা দিচ্ছেন- এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১-এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) আকমল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রধান কার্যালয় থেকে ডিজিএম সাজ্জাদুর রহমানকে শোকজ ও চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। তাকে ময়মনসিংহ কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।'

তিনি আরও বলেন, 'এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।'

এ বিষয়ে ডিজিএম সাজ্জাদুর রহমান দাবি করেন, 'আমাকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এ ভিডিও করা হয়েছে। আমাকে ব্ল্যাকমেইলিং করা হচ্ছে। আমি ঈশ্বরদী থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেছি।'

তিনি আরও বলেন, 'আমিনুল ইসলাম রানার বাবার নামে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগে ৯ লাখ ৩ হাজার ৯৪৮ টাকা বিল বকেয়া রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ না করায় তার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। আদালত তাকে ৬ মাসের মধ্যে বিল পরিশোধ করার নির্দেশনা দেন। আমরা ৬ মাসের মাসিক কিস্তিতে বিল পরিশোধ করার ব্যবস্থা করে দেই। কিন্তু, তিনি বিল পরিশোধ না করে উল্টো আমাকে নানারকম হুমকি ধামকি দেন।'

'ওইদিন তিনি নতুন সংযোগ নিতে এলে তাকে জানানো হয় আগের বকেয়া বিল পরিশোধ করতে হবে। তখন তিনি টাকা বের করে আমাকে দেন, আমি তখন টাকাটা ক্যাশ কাউন্টারে জমা দিতে বলি। এসময় তাদের কয়েকজন মোবাইলে ভিডিও করে সেটিকে 'ঘুষ' হিসেবে প্রচার করার চেষ্টা করছে।'

আমিনুল রানা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমার কাছে ১ লাখ টাকা চেয়েছিলেন ডিজিএম। আমি নিয়ে ৫০ হাজার টাকা নিয়ে গিয়েছিলাম। এসময় কে বা কারা ভিডিও করেছে আমি জানি না।'

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এ ঘটনায় ওই ডিজিএম ৩ জনের বিরুদ্ধে ঈশ্বরদী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ অভিযোগটি গ্রহণ করে তদন্ত করছে।'  

Comments