শ্রীপুরে শিক্ষার্থী ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক কারাগারে
গাজীপুরের শ্রীপুরে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাতের অভিযোগে মাদ্রাসার পরিচালক এমদাদুল হককে (২৮) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার তাকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এমদাদুল হক ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের ছাতির বাজার এলাকার দারুল কোরআন মাদ্রাসার পরিচালক।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগীর মা শ্রীপুরে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন এবং বাবা গ্রামে ঘুরে ঘুরে ফেরি করে মালামাল বিক্রি করেন। চিকিৎসকের পরামর্শে গত ঈদুল ফিতরের পর তারা মেয়েকে মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থী মাদ্রাসায় থাকতো।
গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় মাদ্রাসার এক শিক্ষক ফোন করে পরিবারের কাছে ওই শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে জানান। ওইদিন রাত ৮টায় মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষার্থীকে রক্তক্ষরণরত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের লোকজন। পরদিন ২২ আগস্ট তাকে নিয়ে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহের কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা ছিল। তাকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাত করা হয়েছে। পরে সেখান থেকে কিশোরীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।
ওই শিক্ষার্থীর বাবা ডেইলি স্টারুকে বলেন, 'আমার মেয়ে কথা বলতে পারে না। তার কাছে জানতে চাইলে সে ইশারায় অভিযুক্ত মাদ্রাসার পরিচালক এমদাদকে শনাক্ত করে এবং তাকে ধর্ষণ করেছে বলে জানায়। এ ঘটনায় গত ১৮ সেপ্টেম্বর তেলিহাটি ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শফিকুল ইসলামের কাছে আমি বিচার চাই। তিনি আমাকে থানায় অভিযোগ করতে বলেন। পরদিন আমি শ্রীপুর থানায় এমদাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করি।'
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই শিক্ষার্থীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আজ বুধবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।'
Comments