ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

জামালপুর সদর উপজেলায় ১২২ পিচ ইয়াবাসহ মো. ইসতিয়াক আহমদ সিফাত (২৫) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।    
মো. ইশতিয়াক আহমদ সিফাত। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর সদর উপজেলায় ১২২ পিচ ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগ নেতা মো. ইসতিয়াক আহমদ সিফাতকে (২৫) ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।    
 
রোববার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে (র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১) জামালপুর জেলার কোম্পানি কমান্ডার আশিক উজ্জামান গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

সিফাত নান্দিনা উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের উপ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক এবং উপজেলার বাশঁচড়া বটতলা (নামাপাড়া) এলাকার সুলতান মাহমুদের ছেলে।

আজ সোমবার ছাত্রলীগের নান্দিনা উপজেলা শাখার সভাপতি মো. মাসুদ রানা শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক মো. মুঈন ইয়াজদানীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে ইসতিয়াকের বহিষ্কারের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং দলীয় ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার অভিযোগে নান্দিনা উপজেলা শাখার উপ তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মো. ইসতিয়াক আহম্মেদ সিফাতকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হলো এবং কেনো তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না তার জন্য উপযুক্ত কারণ দর্শানোর নির্দেশ প্রদান করা হলো।

এ বিষয়ে র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১ অক্টোবর দিনগত রাতে জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামানের নেতৃত্বে এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার এম এম সবুজ রানার উপস্থিতিতে র‌্যাবের একটি অভিযানিক দল সদর থানার জামিরা বটতলার ৩ রাস্তার মোড় (নামাপাড়া) সলিম মিয়ার চায়ের দাকানের সামনে জামিরা-বাশঁচাড়া বাজারগামী পাঁকা রাস্তায় অভিযান চালিয়ে ১২২ পিচ ইয়াবা, নগদ ৫৬০ টাকা এবং একটি মোবাইল সেটসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া মাদকদ্রব্যের আনুমানিক বাজার মূল্য ৩৬ হাজার ৬০০ টাকা।

গ্রেপ্তার আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তিনি দীর্ঘদিন ধরে জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সরবরাহ করে আসছিল। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহনেওয়াজ ইমন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার আসামিকে গতকালই আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Comments