রহিমা বেগম অপহরণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জনের জামিন

খুলনার মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিক পাড়া থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ৪ জনের জামিন দিয়েছেন আদালত।
রহিমা বেগম। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিক পাড়া থেকে নিখোঁজ রহিমা বেগমকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার ৪ জনের জামিন দিয়েছেন আদালত।

খুলনা মহানগর দায়রা জজ মাহমুদা খানম আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের জামিনের আদেশ দেন।

জামিন পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিুকল ইসলাম পলাশ ও মোহাম্মাদ জুয়েল।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আবুল কালাম আজাদ জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ।

গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে দৌলতপুরের মহেশ্বরপাশার বণিকপাড়া থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। রাত সোয়া ২টার দৌলতপুর থানায় অপহরণের অভিযোগে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রহিমার ছেলে মিরাজ আল সাদী।

জিডি থেকে জানা যায়, নিখোঁজের সময় রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল হাওলাদার বাড়িতে ছিলেন। পানি আনতে বাসা থেকে নিচে নেমেছিলেন রহিমা। দীর্ঘ সময় পরও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি।

মাকে পাওয়া যাচ্ছে না জানিয়ে ২৮ আগস্ট দৌলতপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন রহিমার ছোট মেয়ে আদুরী।

রহিমা অপহৃত হয়েছেন দাবি করে, ১ সেপ্টেম্বর খুলনায় সংবাদ সম্মেলন করেন পরিবারের সদস্যরা।

রহিমার সঙ্গে জমি নিয়ে স্থানীয়দের মামলা চলছে বলেও সে সময় জানানো হয়েছিল।

মামলায় আসামিরা হলেন— প্রতিবেশী মঈন উদ্দিন, গোলাম কিবরিয়া, রফিুকল ইসলাম পলাশ, মোহাম্মাদ জুয়েল ও হেলাল শরীফ।

আদালত ১৪ সেপ্টেম্বর রহিমা অপহরণ মামলা পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেয়। এরপর ১৭ সেপ্টেম্বর নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই।

মামলার তদন্তকালে পুলিশ ও র‌্যাব ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে। তারা হলেন– খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া (৪০), রহিমার দ্বিতীয় স্বামী বেল্লাল ঘটক ওরফে বেলাল হাওলাদার (৬০), দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন (৫০), রফিকুল ইসলাম পলাশ (৩৬), জুয়েল (৪০) ও হেলাল শরীফ (৪০) । বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত মামলাটির তদন্তভার পিবিআইতে পাঠানোর আদেশ দেন।

পরে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরে বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়ী থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরেরদিন তাকে আদালতে হাজির করা হলে নিজেকে অপহরণের দাবি করেন জবানবন্দি দেন রহিমা বেগম। সেসময় মেয়ে আদুরী আক্তারের জিম্মায় তাকে মুক্তি দেয় আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

Floods cause Tk 14,421 crore damage in eastern Bangladesh: CPD study

The study highlighted that the damage represents 1.81 percent of the national budget for fiscal year (FY) 2024-25

1h ago