অপরাধ ও বিচার

ইভটিজিং-মাদকসেবন কেন্দ্র করে হত্যা, ৭ টিকটকার গ্রেপ্তার

রাজধানীতে বাসের ভেতর ইভটিজিং ও মাদকসেবনকে কেন্দ্র করে মারামারি ও হত্যার ঘটনায় ৭ ‘টিকটকার’কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

রাজধানীতে বাসের ভেতর ইভটিজিং ও মাদকসেবন কেন্দ্র করে মারামারি ও হত্যার ঘটনায় ৭ 'টিকটকার'কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন— ফারুক (১৯), জিতু (১৮), জসিম (১৯), মোস্তফা (১৯), জোবায়ের ওরফে যুবরাজ (১৮), মো. রাব্বি (১৯) এবং ১৫ বছর বয়সী অপর একজন।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১ নভেম্বর হাজারীবাগ এলাকার টিকটকার শান্ত ধামরাইয়ে একটি রিসোর্টে পুল পার্টির আয়োজন করেন।সেখানে হাজারীবাগ ও এর আশেপাশের এলাকার প্রায় শতাধিক তরুণ-তরুণী অংশ নেন। পার্টি শেষে ফেরার পথে বাসের ভেতরে সিনিয়র-জুনিয়রদের মধ্যে মাদকসেবন নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে সেখানে ইভটিজিংও করা হয়।

পরবর্তীতে তাদের বাস রাজধানীর আসাদ গেট এলাকায় পৌঁছালে নারীদের নামিয়ে দিয়ে উভয়পক্ষ মারামারি শুরু করে। এ সময় মো. রাব্বী (২৪) নামে একজন সুইচ গিয়ার দিয়ে অপরপক্ষকে আঘাত করতে যায়। অপরপক্ষ একত্রিত হয়ে রাব্বীর কাছ থেকে সুইচ গিয়ার কেড়ে নিয়ে তাকে উপর্যুপরি আঘাত করে। এ সময় শাওন (১৯) নামের অপর একজনও গুরুতর আহত হন।

গুরুতর আহত অবস্থায় রাব্বী ও শাওনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।রাব্বী হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ ভোররাত ১টার দিকে মারা যান। শাওনের অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল।

এ ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে হাজারীবাগ, লালবাগ, মোহাম্মদপুর ও কামরাঙ্গিরচর এলাকা থেকে অভিযুক্ত ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

অভিযুক্ত ফারুকের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত সুইচ গিয়ারটি উদ্ধার করা হয়েছে। তার নামে হাজারীবাগ থানায় আরও ৩টি মামলা রয়েছে।

নিহত রাব্বীর বাবা বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা ঘটনার সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে।

Comments