পাবনায় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৫ চরমপন্থি মুসা হত্যাকাণ্ডে জড়িত: পুলিশ
পাবনায় নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন সর্বহারা দলের ৫ সদস্যকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃতরা আত্মসমর্পণ করা চরমপন্থি সদস্য মুসা খান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।
তারা হলেন- চাটমোহর উপজেলার কদমতলীর আব্দুল হাই সামাদের ছেলে সাইফুর ইসলাম ওরফে শুটার সিরাজ, আটঘরিয়ার নগরচাচকিয়া উত্তরপাড়ার মো. নায়েব আলীর ছেলে মো. একরাম হোসেন, আমিনপুর থানার চর দুর্গাপুরের কোরবান ব্যাপারীর ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম, আতাইকুলা থানার সাদুল্লাহপুরের ফারাদপুর নতুনপাড়ার গফুর প্রামাণিকের ছেলে নাহিদুল ইসলাম শাকিল ও রাজবাড়ী জেলার চরভরাটের মো. আজিজুল আয়নাল প্রামাণিকের ছেলে জালাল প্রামাণিক।
আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সী সাংবাদিকদের জানান, আটঘরিয়া থানার একদন্ত ইউনিয়নের অলির মোড়ে সর্বহারা নেতা মুসা খাঁ হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত আসামিদের শনাক্ত করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পরবর্তীতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আতাইকুলার ফারাদপুর নতুন পাড়ার নাহিদের বাড়িতে সর্বহারাদের আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশের দুটি দল।
অভিযানে ৫ চরমপন্থিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, এক রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি ওয়ান শুটার গান, একটি বিদেশি এসএমসি, এসএমসির ম্যাগাজিন, এসএমসির ১৫ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, একটি শর্টগান, ৩২ রাউন্ড বারো বোরের তাজা কার্তুজ এবং ৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত ২৬ অক্টোবর আটঘরিয়া থানার একদন্ত ইউনিয়নের অলির মোড়ে নজিবুলের চায়ের দোকানের পেছনে ক্যারাম খেলছিল ২০১৯ সালে আত্মসমর্পণকৃত সর্বহারা নেতা মুসা খাঁ। বিকেল ৫টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ও রামদা দিয়ে কুপিয়ে মুসা খাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন বলেও জানান পুলিশ সুপার।
Comments