ঝিনাইদহে ২ ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষে নিহত ১

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষে সাঈদ বিশ্বাস (৪৫) নিহত হয়েছেন।
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২ ইউপি সদস্যের সমর্থকদের সংঘর্ষে সাঈদ বিশ্বাস (৪৫) নিহত হয়েছেন।

আজ সকালে উপজেলার বিএলকে বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত আরও ৬ জন আহত হয়েছে।

শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। ওই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে, এখনো কোনো মামলা হয়নি।'

নিহত সাঈদ বিশ্বাস শৈলকূপা উপজেলার লক্ষণদিয়া গ্রামের জাবেদ আলীর ছেলে বলে জানান তিনি।

পুলিশ জানায়, শৈলকূপা উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মান্নান ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য কফিল উদ্দীনের। আজ সকাল ৮টার দিকে বিএলকে বাজারে ২ ইউপি সদস্যের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রে হামলা-পাল্টা হামলায় জড়িয়ে পড়ে। এতে কয়েকজন আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে সাঈদের মৃত্যু হয়।

নিহত সাঈদ মান্নানের সমর্থক বলে দাবি করেছেন তিনি।

ইউপি সদস্য মান্নান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'দীর্ঘদিন ধরে কফিল মেম্বারের সঙ্গে বিরোধ ছিল। আজ তারা আমার ভাতিজাসহ সমর্থকদের হামলা করে আহত করে। হামলায় আহত আমার কর্মী সাইদকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।'

৪ নং ওয়ার্ডের সদস্য কফিল উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উমেদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ছাবদার হোসেন মোল্লা এই সংঘর্ষের জন্য দায়ী। তিনি আমাদের নিয়ে রাজনীতি ও দলবাজী করেন। তিনি চান আমি তার অধীনস্থ থাকি। আমি তার কথামতো চলি না বলেই মান্নান মেম্বারের লোক দিয়ে আমার কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন।'

তবে উমেদপুর ইউপি চেয়ারম্যান ছাবদার হোসেন মোল্লা জানান, 'আমি সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। এটা ওদের সামাজিক দলাদলি। গ্রামের আধিপত্য নিয়ে এই মারামারি। এ ব্যাপারে আমার কোনো দায় নেই।'

Comments