চলতি বছর মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়েছে: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, সংশ্লিষ্ট বিচারক ও কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও মনিটরিংয়ের কারণে চলতি বছরে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়েছে।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। ছবি: সংগৃহীত

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেছেন, সংশ্লিষ্ট বিচারক ও কর্মকর্তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও মনিটরিংয়ের কারণে চলতি বছরে নিম্ন আদালত ও হাইকোর্টে মামলা নিষ্পত্তির হার বেড়েছে।

তিনি বলেন, 'পরিসংখ্যান থেকে প্রতীয়মান হয়, অধস্তন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত) ছিল ৮৫ শতাংশ। মামলা নিষ্পত্তির হার জুন পর্যন্ত ১০১ শতাংশ এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১০৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।'

'বর্তমানে নিম্ন আদালতে মামলা নিষ্পত্তির হার দায়েরের হারের তুলনায় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঢাকা বিভাগ এখন প্রথম অবস্থানে। ঢাকা বিভাগে মামলা নিষ্পত্তির হার এখন ১৩০ শতাংশ', যোগ করেন তিনি।

গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট মিলনায়তনে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ও অধস্তন আদালতের জন্য ৬টি আদালত প্রযুক্তি চালু উপলক্ষে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

আদালত প্রযুক্তিগুলো হলো সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটের জন্য মোবাইল অ্যাপ, আপিল বিভাগের জন্য ডিজিটাল অনুলিপি বিভাগ, আপিল বিভাগের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, মনিটরিং কমিটির অনলাইন রিপোর্টিং টুলস, শিশু আদালতের জন্য মনিটরিং সরঞ্জাম এবং অধস্তন আদালতের আদেশ ও রায়ের অনলাইন প্রকাশনা।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, 'এ বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিম্ন আদালতে মোট ২লাখ ৬৮ হাজার ৯৩৫টি দেওয়ানি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং একই সময়ে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৪৯৯টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির হার ছিল ১০২ শতাংশ।'

'এই সময়ে মোট ৮ লাখ ৪০ হাজার ৬০৪টি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অধস্তন আদালতে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৭৪৯টি ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। নিষ্পত্তির হার ছিল ৯৫ শতাংশ', বলেন প্রধান বিচারপতি।

তিনি আরও জানান, এই বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হাইকোর্টে মোট ৬৪ হাজার ৬৪১টি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং একই সময়ে হাইকোর্ট মোট ৫০ হাজার ৯১০টি মামলা নিষ্পত্তি করেছে। মামলা নিষ্পত্তির হার ছিল ৭৯ শতাংশ।

বিচার বিভাগকে তথ্য-প্রযুক্তিভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন এবং কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।

'বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট ভবিষ্যতের জন্য বিচার ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য একটাই এবং তা হলো খুব অল্প সময়ের মধ্যে ন্যূনতম খরচে বিচারপ্রার্থী মানুষের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা', তিনি বলেন।

Comments

The Daily Star  | English

Is Raushan's political career coming to an end?

With Raushan Ershad not participating in the January 7 parliamentary election, questions have arisen whether the 27-year political career of the Jatiya Party chief patron and opposition leader is coming to an end

45m ago