পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জের রিট খারিজ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: সংগৃহীত

'বিতর্কিত' মন্তব্যের অভিযোগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হওয়া রিট খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

আজ সোমবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালত জানিয়েছে, এ রিটের কোনো সারবত্তা (মেরিট) নেই।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান আহাদ ও অ্যাডভোকেট এরশাদ হোসেন রাশেদ।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। সঙ্গে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন ও সামসুন নাহার লাইজু।

১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম শহরের জে এম সেন হলে জন্মাষ্টমী উৎসবের অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকারকে টিকিয়ে রাখার জন্য যা যা করা দরকার সেটি করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমি ভারতে গিয়ে বলেছি, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে হবে।'

এ ঘটনায় গত ৫ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. এরশাদ হোসেন রাশেদ। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিব ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিবাদী করা হয়।

গতকাল রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের মন্ত্রী পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিটের শুনানি শেষ হয়।

একই অভিযোগে ২১ আগস্ট ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পদত্যাগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন ওই আইনজীবী। নোটিশের পরও কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় রিট করেন তিনি।

নোটিশে আইনজীবী রাশেদ বলেন, ১৯ আগস্ট বিকালে গণমাধ্যমে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভারতবিষয়ক বক্তব্যের তথ্য পান।

নোটিশে বলা হয়, এ বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) তার শপথ ভঙ্গ এবং সংবিধান লঙ্ঘন করেছেন। তার এ বক্তব্য সার্বভৌমত্বকে আঘাত করেছে। তাই নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্বেচ্ছায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পদত্যাগে অনুরোধ করা হয়। অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করা হয়।

এই নোটিশের পরও পদত্যাগে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট করেন ওই আইনজীবী।

 

Comments

The Daily Star  | English

Power grid failure causes outage across 21 districts

According to the Power Grid Bangladesh PLC, the situation has since returned to normal

8h ago