ফেনীতে ছাত্রদলের ১৬৯ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা, গ্রেপ্তার ৫

ফেনীতে রোববার বিকেলে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের ১৪ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছে পুলিশ।
পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

ফেনীতে রোববার বিকেলে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের ১৪ নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫৫ জনকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেছে পুলিশ।

ফেনী শহর পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ মহসিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

এ মামলায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তারা হলেন- ফেনী পৌর ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. ইব্রাহিম হোসেন (২৮), ছাত্রদল কর্মী নিজাম উদ্দিন (২১), আবদুল্লাহ আল নোমান (১৯), আবির ইসলাম (১৯) ও যুবদল কর্মী মো. আলাউদ্দিন (২৮)।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, রোববার বিকেলের সংঘর্ষের ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ ও ১৫৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ফেনী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার ও সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন দাবি করেন, 'ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশ বিনা উস্কানিতে পেছন থেকে হামলা করে। এলোপাথাড়ি লাঠিপেটা করে ও গুলি করে। এতে আমাদের অন্তত ১৫ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। গ্রেপ্তারের ভয়ে তাদের চিকিৎসাও গোপনে নিতে হচ্ছে। আমরা মিথ্যা ও বাটোয়াট মামলা প্রত্যাহার এবং গ্রেপ্তারদের দ্রুত মুক্তি চাই।'

পুলিশ জানায়, রোববার বিকেলে ছাত্রদলের কিছু নেতা-কর্মী শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়ক থেকে মিছিল শুরু করে। একপর্যায়ে তারা রাস্তায় বিভিন্ন গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর শুরু করে। তাদের এসব কাজ থেকে বিরত থাকতে বলায় তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে ২৮ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে।

 

Comments

The Daily Star  | English
Worker unrest in Bangladesh

Owners threaten to shut garment factories from tomorrow if unrest continues

The garment factory owners today decided to shut down their production units from tomorrow under “no work no pay” policy for an indefinite period if the labour unrest continues further

58m ago