বরিশালে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা

বরিশালের বাবুগঞ্জের রাকুদিয়া গ্রামের এক বাড়িতে ঢুকে মারুফা বেগম (২৮) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা ও তার স্বামী মিলনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। 
বরিশালে ঘরে ঢুকে নারীকে কুপিয়ে হত্যা
ছবি: সংগৃহীত

বরিশালের বাবুগঞ্জের রাকুদিয়া গ্রামের এক বাড়িতে ঢুকে মারুফা বেগম (২৮) নামে এক নারীকে কুপিয়ে হত্যা ও তার স্বামী মিলনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। 

আজ মঙ্গলবার আনুমানিক রাত ২টার দিকে ৬ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্ত একতলা ভবনের কলাপসিবল গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাদের ওপর হামলা করা হয়। 

নিহত মারুফার বোনের মেয়ে ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জিয়ান দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানান।

জিয়ান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাসার ভেতরে সবগুলো দরজা খোলা ছিল। নতুন ভবন হওয়ায় দরজাগুলো বেঁকে যাওয়ার কারণে ঠিকমত বন্ধ করা যেত না। এ কারণে দুর্বৃত্তরা সহজেই প্রতিটি কক্ষে যেতে পারে।' 

এ ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মিলন ও নিহত মারুফার পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

তবে পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার রহস্য উদঘাটন এবং দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে তারা কাজ করছে। 

মারুফার মা রাশিদা বেগম জানিয়েছেন, মিলনের আগের স্ত্রীর পরিবার শত্রুতাবশত পরিকল্পিতভাবে এই হত্যা করে থাকতে পারে। 

প্রত্যক্ষদর্শী জিয়ান আরও বলেন, দুর্বৃত্তরা মিলন ও মারুফার কক্ষে গিয়ে প্রথমে মারুফাকে কুপিয়ে হত্যা করে। পরে মিলনকে কুপিয়ে একটি চেয়ারের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেধে ফেলে। এরপর আরেকটি কক্ষে থাকা জিয়ানের কাছে গিয়ে আলমারির চাবি চায়। চাবি না দেওয়ায় তাকে জোরকরে মারুফার কক্ষে নিয়ে তার নিথর দেহ দেখিয়ে এভাবে হত্যা করা হবে বলে ভয় দেখায়। জিয়ান চাবি দিলে তারা আলমারি খুলে টাকা নিয়ে সামনের গেট দিয়ে চলে যায়। 

মারুফার ৭ বছরের সন্তান মাহিত দ্য ডেইলি স্টারকে জানায়, তার ছোট ভাই মা ও বাবার সঙ্গে ঘুমায়। সে তার খালাতো বোনের সঙ্গে ছিল। সেখান থেকে তাকেও ঘুম থেকে তুলে ভয় দেখানো হয়। দুর্বৃত্তরা চলে গেলে জিয়ান ও মাহিত ঘর থেকে বের হয়ে চিৎকার দেয়। এ সময় মিলনও ডাক-চিৎকার করলে পাশের এক পুলিশের ঘরে গিয়ে জিয়ান তাকে ঘুম থেকে ডেকে তোলেন। পরে তিনি চিৎকার দিয়ে গ্রামবাসীদের জড়ো করে মারুফার ঘরে গিয়ে তার নিথর দেহ দেখতে পান। 

বরিশালের এএসপি সার্কেল (বাবুগঞ্জ) ফরহাদ হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, ৬ জন এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারুফার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছি। এ ছাড়া দুষ্কৃতিকারীরা কিছু স্বর্ণালংকার ও ৫০ হাজার টাকার মতো নিয়ে গেছে। তবে কী কারণে, কীসের জন্য এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে সে বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। আমরা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছি। 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

 

Comments