চকবাজার মসজিদ কমিটির সভাপতি হত্যায় নাতি-নাতনিসহ গ্রেপ্তার ৫

রাজধানীর চকবাজার মসজিদ কমিটির সভাপতি মুনসুর আহম্মেদকে হত্যার ঘটনায় নাতি-নাতনিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) চকবাজার মডেল থানা পুলিশ।
চকবাজার মসজিদ কমিটির সভাপতি হত্যায় নাতি-নাতনিসহ গ্রেপ্তার ৫
মসজিদ কমিটির সভাপতি হত্যায় নাতি-নাতনিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর চকবাজার মসজিদ কমিটির সভাপতি মুনসুর আহম্মেদকে হত্যার ঘটনায় নাতি-নাতনিসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) চকবাজার মডেল থানা পুলিশ।

মঙ্গলবার ও বুধবার অভিযান পরিচালনা করে চকবাজার, মুন্সিগঞ্জ ও চাঁদপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ বুধবার সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) বিপ্লব বিজয় তালুকদার।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ভিকটিমের নাতি মো. শাহাদাত মুবিন আলভী (২০), নাতনি আনিকা তাবাস্সুম (২৩), রাজু (২২), রায়হান (২০) ও সাঈদ (২০)।

বিজয় তালুকদার বলেন, গত ১৭ নভেম্বর দিনগত রাতে চকবাজারের খাজে দেওয়ান লেনের ৬ তলা ভবনের দ্বিতীয় তলার নিজ বাসায় মুনসুর আহম্মেদকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় চকবাজার থানায় হত্যাসহ দস্যুতার একটি মামলা হয়।

পুলিশ কমিশনার জানান, এ বিষয়ে চকবাজার মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটি তদন্তের সময় ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে প্রতক্ষ্যভাবে জড়িত মূল পরিকল্পনাকারী মো. শাহাদাত মুবিন আলভী ও আনিকা তাবাস্সুমকে গতকাল মঙ্গলবার চকবাজার থানা এলাকায় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

তিনি আরও জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনার এক মাস আগে আলভি এবং আনিকা পরীক্ষা শেষে ঘুরতে যাবার প্লান করেন। এ জন্য তাদের টাকার প্রয়োজন হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন বিয়ের অনুষ্ঠান থাকায় তারা ওই দিনটি বেছে নেয়। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেপ্তার আনিকা তাবাস্সুম তার প্রেমিক রাজুর সহায়তায় একটি নকল চাবি বানায় এবং ভিকটিমকে অচেতন করে টাকা পয়সা লুট করার জন্য সিরিঞ্জ ও অচেতন করার ঔষধ সংগ্রহ করে। গ্রেপ্তার রাজুর ছোট ভাই রায়হান ও সাঈদ মিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী টাকা-পয়সা লুট ও হত্যাকাণ্ডে সহযোগিতা করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা টাকা-পয়সা লুট ও হত্যাকাণ্ডে ঘটনায় নিজেদের সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

 

Comments