এলসি খুলে অর্থপাচার: ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা, জানতে চান হাইকোর্ট

দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড ও এর পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে একটি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

আজ বুধবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।

ন্যাশনাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে ঋণপত্র (এলসি) খুলে অর্থপাচার ও দুর্নীতির অভিযোগ আছে। 

এ বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংক ও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) ১০ দিনের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে রুলে।

এছাড়া, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ৬০ দিনের মধ্যে বিদেশ থেকে পণ্য আমদানির জন্য সান্ত্বনা এন্টারপ্রাইজ এবং ইন্টার-এশিয়া গ্রুপ পিটিই লিমিটেডের নামে 'কথিত' এলসির প্রাসঙ্গিক নথিপত্র জমা দিতে বলেছেন আদালত।

এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী চৌধুরী হাসান মাহমুদ আবদুল্লাহর করা রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব রুল ও আদেশ দেন।

রিট আবেদনকারীর আইনজীবী মো. মুনসুরুল হক চৌধুরী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা পদ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থপাচার এবং দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তারা নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এলসি খুলে সিঙ্গাপুর থেকে পণ্য আমদানির নামে অর্থপাচার করেছে।'

ন্যাশনাল ব্যাংকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক এবং রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

 

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

1h ago