কক্সবাজারে ব্যাডমিন্টন খেলাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নিহত ২

মিরপুরে নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
প্রতীকী ছবি। স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কক্সবাজারের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের কাছে লারপাড়ায় ব্যাডমিন্টন খেলা কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ২ জন নিহত ও একজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. নাজমুল হক দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহতরা হলেন: লারপাড়া এলাকার নুরুল হুদার ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩১) ও আব্দুল হামিদের ছেলে কায়সার হামিদ (২৮)।

আহত মুফিজ উদ্দিন (২১) একই এলাকার আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

পুলিশের পরিদর্শক নাজমুল হক বলেন, 'গতরাতে লারপাড়ায় প্রতিদিনের মতো স্থানীয় যুবকরা মিলে ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। এক পর্যায়ে খেলায় অংশগ্রহণকারী ২ জনের মধ্যে তর্কাতর্কির ঘটনা ঘটে। কিছুক্ষণ বাক-বিতণ্ডা শেষে তারা মাঠ থেকে চলে যান। পরে ২ পক্ষ সংঘবদ্ধ হয়ে লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।'

'এতে কয়েকজন আহত হন' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন 'আহতদের মধ্যে স্থানীয়রা ৩ জনকে উদ্ধার করে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেসময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।'

নিহত সাইদুল ইসলামের ছোটভাই মনিরুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ব্যাডমিন্টন মাঠে থেকে চলে আসার পর আমি ও বড়ভাই সাইদুল ইসলামসহ কয়েকজন লারপাড়ায় ভগ্নীপতির দোকানের সামনে কথা বলছিলাম। সেসময় জয়নাল আবেদীন তার ২ ভাই আতিক হোসেন ও কামাল হোসেন এবং তাদের সহযোগী মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন এসে সাইদুল ইসলামের সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার বড়ভাই সাইদুল ইসলামসহ ৩ জন গুরুতর আহত হন।'

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীনের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মো. আশিকুর রহমান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় ৩ জনকে হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে আনার আগেই অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ জনিত কারণে ২ জনের মৃত্যু হয়। অপরজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।'

নিহত ২ জনের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে আছে বলে জানান তিনি।

ঘটনার পর পরই জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে উল্লেখ করে পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হক জানান, আজ মঙ্গলবার সকালে মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago