গাজীপুরে রবিউলের মৃত্যু: বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ অভিযুক্ত ৬০০

গাজীপুরে সুতা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬০০ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার ভোগড়া বাইপাস সড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে মৃতের স্বজনেরা। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে সুতা ব্যবসায়ী রবিউল ইসলামের মৃত্যুর ঘটনায় বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীসহ ৬০০ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক দুটি মামলা করা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাতে বাসন থানা পুলিশের একজন উপ-পরিদর্শক ওই থানায় এ দুটি মামলা করেন। একটিতে ১৪ জন ও অপরটিতে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ দুটি মামলায় সর্বোচ্চ ৬০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

বাসন থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর তথা সরকারি স্থাপনা বিনষ্ট, বিক্ষোভ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় একটি এবং সরকারি কাজে বাধাদানসহ পুলিশকে আহতের ঘটনায় আরেকটি মামলা রুজু হয়।

মামলা দুটিতে ব্যক্তিগত সম্পদ ও জনগণের জানমালের ক্ষতিসাধন, অগ্নিসংযোগ করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোসহ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির উদ্দেশ্যে গুজব ছড়ানোর ধারাগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়েরকৃত একটি মামলায় জামায়াতের ৩ শীর্ষ নেতা মো. খায়রুল হাসান, হোসেন আলী ও মাওলানা ওমর ফারুকের নাম উল্লেখ রয়েছে। এ ছাড়াও, এ মামলায় বিএনপির মহানগর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য বশির আহমেদ বাচ্চু, বাসন থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল ইসলাম, বর্তমান আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম মনির, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর সিরাজ ও শওকত বাবুসহ ১১ জনের নাম রয়েছে। মামলায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

দুটি মামলায় স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ প্ররোচনা দান এবং উত্তেজিত জনতার সঙ্গে মিশে ধংসযজ্ঞ চালাতে সহযোগিতা করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার একটি সড়ক দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত জনতা বুধবার বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস এলাকার ঢাকা-টাঙ্গাইল ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। এসময় উত্তেজিত জনতার সঙ্গে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট, সরকারকে উৎখাতসহ বেকায়দায় ফেলার লক্ষ্যে বিএনপি-জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মীরা মিশে যায়। উত্তেজিত জনতাকে দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপি ও জামায়াত-শিবির নেতাকর্মীদের প্ররোচনায় জনতা পুলিশের ওপর চড়াও হয়ে উঠে। ওই নেতাকর্মীরা সরকারি কাজে বাধাদানসহ একপর্যায়ে পুলিশ বাহিনীকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করে। পরে উত্তেজিত জনতা সরকারি সম্পদ নষ্ট, ভাঙচুর এবং পুলিশ বক্সে অগ্নি সংযোগের মতো ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৪ জন চিহ্নিতসহ কমপক্ষে ৮০ জন বিএনপি-জামায়াত শিবিরের নেতাকর্মী ও অজ্ঞাতনামা ৩০০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।

সরকারি কাজে বাধাদান ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ ৩০০ জনকে অভিযুক্ত করে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।

দুটি মামলায় শতাধিক টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

গাজীপুর মহানগরের ভোগড়া পেয়ারা বাগান শাহনাজ গলির ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম পুলিশের নির্যাতনে মারা গেছে এমন খবরে বুধবার সকাল ১০টার দিকে মহাসড়ক অবরোধ, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago