মোবাইল চোরাচালান

আ. লীগ নেতার ছেলের বিরুদ্ধে বিজিবির মামলা

সিলেট
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলায় সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে চোরাচালানের সময় ১৯৪টি ভারতীয় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধারের ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলেসহ দুই জনকে আসামি করে মামলা করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

আসামিরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর ছেলে জয় আলী (২৫) ও একই উপজেলার আসাদ উদ্দিন (৩০)।

তবে এ মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য বিরোধীপক্ষের ইন্ধনে হয়েছে বলে দাবি করেছেন লিয়াকত আলী।

বিজিবির জৈন্তাপুর উপজেলার শ্রীপুর (বিওপি) ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মকবুল হোসেন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে জৈন্তাপুর থানায় এ মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৫টার দিকে মামলার বাদীর নেতৃত্বে একটি টহল দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের উপর জৈন্তাপুর উপজেলার জাফলং ভ্যালি বোর্ডিং স্কুলের সামনে অবস্থান নেন।

এ সময় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ঘটনাস্থলে এলে বিজিবি সেটিকে থামার সংকেত দিলে ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা অটোরিকশা রেখে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে অটোরিকশা থেকে ১৯৪টি ব্যবহৃত ভারতীয় মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় যা চোরাচালানের মাধ্যমে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে দেশে আনা হয়েছে।

পরে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পলাতক আসামিদের দুই জনকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৫ এপ্রিল লিয়াকত আলীর ছেলে জয় আলীসহ তিন জনকে ভারত থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চোরাচালান করে নিয়ে আসা ১০০টি মোবাইল ফোনসহ আটক করেছিল সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শাহপরাণ থানা। পরে তাদের ৪ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ।

লিয়াকত আলী বলেন, 'বিজিবি ঘটনাস্থলে কাউকে আটক করতে না পেরে দুই দিন পর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্ররোচণায় মামলা দায়ের করেছে। গতবছরও এভাবে তাকে জড়িয়ে মামলা দায়ের করা হয়।'

জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ওমর ফারুক বলেন, 'বিজিবির মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত করছে পুলিশ। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago