ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদ

কিশোর নিহত, আড়াই লাখে মীমাংসার অভিযোগ

নোয়াখালীর চাটখিলে কৃষি জমিতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে এক কিশোর নিহত হয়েছে। নিহত মো. তারেক (১৪) হাটপুকুরিয়া-ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে।

নোয়াখালীর চাটখিলে কৃষি জমিতে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে এক কিশোর নিহত হয়েছে। নিহত মো. তারেক (১৪) হাটপুকুরিয়া-ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে।

গত রোববার রাতে চাটখিলের হাটপুকুরিয়া ঘাটলা বাগ ইউনিয়নের বক্তারপুর গ্রামে সাবেক ইউপি সদস্য ওসমান গনির জমিতে এই ঘটনা ঘটে। সোমবার বিকেলে ঘটনাটি জানা যায়।

হাটপুকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম বাকি বিল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর মধ্যেই আড়াই লাখ টাকায় ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জমির মালিক ওসমান গনি ও ইউপি সদস্য আবদুস সাত্তারের বিরুদ্ধে।

জানা গেছে, ওসমান গনি বক্তারপুর গ্রামে তার জমিতে ইঁদুর নিধনে বৈদ্যুতিক তারের ফাঁদ পেতেছিলেন। রোববার রাত ৮টার দিকে মো. তারেক তার বন্ধুদের সঙ্গে খেতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বৈদ্যুতিক ফাঁদের সংস্পর্শে আসে। তারেকের সঙ্গে থাকা বন্ধুদের মাধ্যমে খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত্যুর কথা জানান।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবদুস সাত্তার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন ঘটনাটি পুলিশকে জানানো হয়েছিল। পরে বিষয়টি মীমাংসা হয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান এসএম বাকি বিল্লাহ বলেন, আড়াই লাখ টাকায় মীমাংসার কথা আমাকে জানানো হয়েছে। বৈদ্যুতিক ফাঁদ পাতা কোনো অবস্থাতেই আইনসম্মত নয়। এ ব্যাপারে নিহত তারেকের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তারা কোনো মন্তব্য করতে চায়নি।

চাটখিল থানার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু জাফর দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন পুলিশ ঘটনাটি শুনেছে। নিহতের পরিবার থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফনের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিহতের পরিবার থেকে কোনো লিখিত অভিযোগ না থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এই ব্যাপারে চাটখিল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাস ডেইলি স্টারকে বলেন, বিষয়টি তিনি খতিয়ে দেখবেন।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago