উখিয়ায় ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে রোহিঙ্গা নারী নিহত, গুলিবিদ্ধ ২

প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের গুলিতে নুর কায়েস (২৫) নামের এক রোহিঙ্গা নারী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরেকজন। এ ছাড়া, পৃথক ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালী এলাকায় ৮ নম্বর (পূর্ব) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লক এবং ময়নারঘোনা এলাকার ১২ নম্বর ক্যাম্পের জি-১ ব্লকে এসব ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

নিহত নুর কায়েস (২৫) উখিয়ার বালুখালী ৮ (পূর্ব) নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা মো. নজুমুদ্দিনের স্ত্রী। আহতরা হলেন- উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকের বাসিন্দা মো. আব্দুর রহিম (৩৮) এবং বালুখালী ৮ নম্বর (পূর্ব) ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লকের বাসিন্দা আরাফাত হোসেন। আব্দুর রহিম ময়নারঘোনা ১২ ক্যাম্পের প্রধান কমিউনিটি নেতা (হেড মাঝি)।

রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে ৮ নম্বর (পূর্ব) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বি-৫৭ ব্লকে একদল দুর্বৃত্ত এলোপাতাড়ি গুলি চালালে নুর কায়েস ও আরাফাত হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে কুতুপালং এলাকায় এনজিও এমএসএফ পরিচালিত হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নুর কায়েসকে মৃত ঘোষণা করেন। আরাফাত হোসেন এমএসএফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে আজ সকাল সাড়ে ১১টায় উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে একদল দুর্বৃত্তের গুলিতে মো. আব্দুর রহিম নামে রোহিঙ্গা কমিউনিটির এক নেতা (হেডমাঝি) আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী।

ওসি জানান, সকালে উখিয়ার ময়নারঘোনা ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-১ ব্লকে নিজের ঘরের অদূরে অবস্থান করছিলেন মো. আব্দুর রহিমসহ কয়েকজন রোহিঙ্গা। এ সময় মুখোশ পরা ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত আবদুর রহিমের মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। রোহিঙ্গারা তাকে উদ্ধার করে কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে নিয়ে যান।

তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠান।

Comments

The Daily Star  | English
future of bangladesh after banning awami league

What are we building after dismantling the AL regime?

Democracy does not seem to be our focus today. Because if it were, then shouldn’t we have been talking about elections more?

15h ago