কুমিল্লায় পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার মামলায় ইকবালের ১৬ মাস কারাদণ্ড
কুমিল্লার নানুয়া দিঘির পাড়ের দুর্গা পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখার মামলার প্রধান আসামি মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনকে ১৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
মোহাম্মদ ইকবালের সাজা ঘোষণা হওয়া এই মামলাটি গাজীপুরের টঙ্গী পূর্ব থানায় দায়ের হয়েছিল। অপরাধের কথা স্বীকার করে নেওয়ার পর আজ তার বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়েত।
২০২১ সালের ১৩ অক্টোবরের ওই ঘটনায় দেশের বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে আরও ১০টি মামলা হয়। সিসিটিভি ফুটেজে ইকবালকে পূজামণ্ডপে কোরআন রেখে গদা কাঁধে নিয়ে হেঁটে যেতে দেখা যায়। ৩০ বছর বয়সী ইকবাল কুমিল্লা শহরের মুরাদপুর-লস্করপুকুর এলাকার নূর আহম্মদ আলমের ছেলে। কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ২১ অক্টোবর ইকবালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সরকারি কৌঁসুলি নজরুল ইসলাম শামীম বলেন, পূজা মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে ইকবাল তার আইনজীবীর মাধ্যমে আবেদন জমা দিয়েছিলেন। আসামির উপস্থিতিতে আজ সাজা ঘোষণা করা হয়।
অন্য মামলায় পরোয়ানা না থাকলে আদালত তাকে মুক্তি দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। ১৬ মাস কারাভোগ করছেন বলে উল্লেখ করেছেন আদালত।
এই মামলায় বাদীসহ পাঁচ জন জবানবন্দি দেন। তার পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় বিচারক ইকবাল হোসেনকে সাক্ষীদের জেরা করতে বলেন। কিন্তু ইকবাল সাক্ষীদের জেরা করতে অস্বীকার করেন এবং অবমাননাকর মন্তব্য করার সঙ্গে তার জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
অভিযোগকারী এবং অন্য চারজন ট্রাইব্যুনালে তাদের জবানবন্দি দেন এবং পরে বিচারক ইকবাল হোসেনকে সাক্ষীদের জেরা করতে বলেন কারণ তার পক্ষে কোনো আইনজীবী আদালতে না দাঁড়ায়। কিন্তু ইকবাল সাক্ষীদের জেরা করতে অস্বীকার করেন এবং অপরাধে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
এর আগে গত বছরের ১৬ আগস্ট একই মামলার অপর আসামি মো. রোকন মিয়া ট্রাইব্যুনালে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
Comments