দিনাজপুরে স্বপ্নপুরীতে জবি শিক্ষার্থীদের মারধর, গ্রেপ্তার ৮

দিনাজপুর
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার বিনোদন পার্ক স্বপ্নপুরীতে কর্মচারীদের হামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০ শিক্ষার্থী আহতের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় মামলার পর গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৮ জনকে।

রোববার সন্ধ্যায় এ হামলার ঘটনায় আহত ১০ শিক্ষার্থীর মধ্যে দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন- আরাফাত হোসেন, জাহিদুল আলম তালহা, বিনয় কুমার, প্রান্ত, মোকসেদুল হক, শাকিল আহমেদ, ওমর ফারুক, বিনজাল বসাক ও মামুনুর রহমান।

তাদের মধ্যে আরাফাত ও প্রান্তের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ৭৪ জন শিক্ষার্থী ও ৯ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী দিনাজপুরে শিক্ষাসফরে আসেন। দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলার বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেড (বিসিএমসিএল)সহ বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তারা স্বপ্নপুরী বিনোদন পার্কে যান।

শিক্ষার্থীরা যখন পার্ক থেকে বের হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন এক নারী শিক্ষার্থী তার ব্যাগ নিতে ভুলে যাওয়ায় আবার ফিরে যান। তখন পার্কের এক কর্মী তাকে উত্ত্যক্ত করে। এসময় শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে সেখানকার কর্মীরা তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পরে এবং ধাওয়া করে।

এসময় আরও কর্মচারীরা জড়ো হয়ে ছাত্রদের ওপর হামলা চালায় এবং মারধর করে। তাদের হাতে রড ছিল বলে জানান শিক্ষক মহিউদ্দিন।

নবাবগঞ্জ উপজেলা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

গত রাত ৯টার দিকে গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়।

নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, রোববার রাতে জবির এক শিক্ষার্থী বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত আট জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আটককৃতদের মধ্যে দুজন কিশোর। অন্যরা হলেন-- মো. সবুজ রানা (২৯), রেজওয়ান আহম্মেদ (১৮), প্রভাশ কিসকু (৩৬), জাহেদুল ইসলাম (৪৫), মানিকুল ইসলাম (৩২), সালমা আক্তার (২১)।

স্বপ্নপুরীর মালিক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন ডেইলি স্টারকে বলেন, ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত। আমার ৪-৫ জন কর্মচারীও আহত হয়েছেন। এ বিষয়ে পুলিশ যা ব্যবস্থা নেবে মেনে নেব।

Comments

The Daily Star  | English

Can't afford another lost decade for education

Whenever the issue of education surfaces in Bangladesh, policymakers across the political spectrum tend to strike a familiar chord. "Education is our top priority," they harp

3h ago