র‌্যাবের মামলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত বৃদ্ধের পরিবারের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

বিএনপির বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে হত্যা মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে ২ জন হতাহতের ঘটনায় মামলা করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

মামলায় র‌্যাবের ওপর হামলার অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে৷ গত শুক্রবার ঘটনার পর মধ্যরাতে তাদের আটক করে র‌্যাব।

সোনারগাঁ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আহসান উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'র‌্যাব-১১ এর আদমজী ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার মো. নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে রোববার ভোরে মামলাটি করেছেন। মামলায় মোট ২১ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় আটক ৫ জনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। এ ছাড়া, হত্যা মামলার আসামি সেলিমকেও হস্তান্তর করা হয়েছে থানায়৷ আসামিদের আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে।'

তিনি আরও বলেন, 'মামলায় র‌্যাব উল্লেখ করেছে, হত্যা মামলার আসামিকে ধরতে গিয়ে হামলার শিকার হন তারা৷ ওই সময় আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় ধারালো অস্ত্রসহ হামলা করে আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়৷ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছোড়ে র‌্যাব। এ ঘটনার পর সেখানে একজন গুলিবিদ্ধ বৃদ্ধ মারা যান ও ৫০ বছর বয়সী অপর একজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানতে পারে র‌্যাব। মামলায় র‌্যাব তাদের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধার অভিযোগ করেছে৷'

গত শনিবার মধ্যরাতে হত্যা মামলার এক আসামিকে ধরতে গিয়ে র‌্যাবের অভিযানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান ৬৫ বছরের এক বৃদ্ধ৷ গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আছেন আরেক জন। র‌্যাবের দাবি, আসামিকে ছিনিয়ে নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় স্থানীয় গ্রামবাসী৷ এ ঘটনায় ওই রাতেই পুনরায় অভিযান চালিয়ে ২ কিশোরসহ আটক করা হয় ২০ জনকে।

শনিবার সারাদিন র‌্যাব হেফাজতে থাকার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয় আটককৃত ১৫ জনকে৷ তবে র‌্যাবের ওপর হামলার অভিযোগে গ্রেপ্তার দেখানো হয় বাকি ৫ জনকে৷

গ্রেপ্তার এই ৫ জনের মধ্যে রয়েছেন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত আবুল কাশেমের ছেলে নজরুল ইসলাম, তার ৩ ভাতিজা ও নাতি।

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

2h ago