স্বামী হত্যার বিচার চাই: স্থপতি ইমতিয়াজের স্ত্রী
'আমার ৩ সন্তান বাবার আদর থেকে বঞ্চিত হলো। আমি চিৎকার করে জানাতে চাই, আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই'—কথাগুলো বলছিলেন নিহত স্থপতি ইমতিয়াজ মোহাম্মদ ভূঁইয়ার স্ত্রী ফাহমিদা আক্তার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করে তিনি আরও বলেন, 'মানবতার মা, আপনি কোথায় আছেন? আমার ডাকে কি সাড়া দেবেন আপনি? আমার সন্তানদের যারা বাবার আদর থেকে বঞ্চিত করেছে তাদের আপনি আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেবেন? আমি আপনার কাছে বিচার চাই।'
আজ মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে মুন্সিগঞ্জে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা মরদেহ উত্তোলনের পর ফাহমিদা আক্তার ও তার স্বজন শনাক্ত করেন।
পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুস সামার উপস্থিতিতে এদিন দুপুর ১টার দিকে কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করার কথা থাকলেও বৃষ্টি ও আইনগত প্রক্রিয়ায় কারণে দেরি হয়।
ইমতিয়াজ ঢাকার তেজগাঁও থানাধীন ডমিসাইল এলাকায় নিজের ফ্ল্যাটে সপরিবারে বসবাস করতেন। গত ৭ মার্চ বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন ইমতিয়াজ। পরদিন ফাহমিদা আক্তার কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
ওই দিন সন্ধ্যায় সিরাজদিখানের চিত্রকোট কামারকান্দা সেতু এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আইনি প্রক্রিয়া শেষে ৯ মার্চ পুলিশ মরদেহটি আঞ্জুমান মুফিদুলে হস্তান্তর করে এবং বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে মুন্সিগঞ্জ পৌর এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ইমতিয়াজের ভাগনি মুনমুন হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামাকে জীবিত ফিরে পেতে মামি এবং আমরা প্রায় ১১ দিন কলাবাগান থানা, তেজগাঁও থানা, ডিবি কার্যালয়, র্যাব কার্যালয়—সব জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করেছি। ৩ দিন আগে মামার লাশের সন্ধান পেয়েছিলাম। থানা, ডিসি অফিস ঘুরে আদালতের মাধ্যমে মঙ্গলবার লাশ তোলার অনুমতি পাই।'
ইমতিয়াজের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার পরমতলা এলাকায়। তার স্বজন জানিয়েছেন, তাদের পারিবারিক কবরস্থানে বাবার পাশে ইমতিয়াজকে দাফন করা হবে।
স্থপতি ইমতিয়াজ হত্যা মামলাটি মুন্সিগঞ্জ গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) হস্তান্তর করেছে পুলিশ।
মুন্সিগঞ্জ ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, 'আজই মামলাটি আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা কাজ শুরু করেছি। ইতোমধ্যে একটি লিংক পেয়েছি। শিগগির আপনাদের অগ্রগতি জানাতে পারব।'
Comments